সালাহ উদ্দিন মাহমুদ:
সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের বারবার হোচট খাওয়াকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী এলাকা মাদারীপুর-৩ আসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারি আব্দুস সোবহান গোলাপ তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে উঠেছেন। হঠাৎ করে ‘উড়ে এসে জুড়ে বসা’র মতো নিজ এলাকায় গণসংযোগ, শুভেচ্ছা বিনিময়সহ বিভিন্ন কর্মকান্ড শুরু করেছেন। দল ক্ষমতায় আসার তিন বছর পরে হঠাৎ করে গোলাপের এমন কর্মকান্ডে স্থানীয় আওয়ামীলীগ পড়েছে মহা বিপাকে। গোলাপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দোহাই দিয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। ফলে স্থানীয় আওয়ামীলীগ এখন দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। যা আগামী নির্বাচনে কাল হতে পারে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সুত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ি, মাদারীপুর-৩ (কালকিনি-সদর) নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামীলীগের বর্তমান সাংসদ ও সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের ২৪ বছরের দূর্গ ভাঙতে আব্দুস সোবহান গোলাপের সাথে স্থানীয় আওয়মীলীগ, বিএনপি ও জামায়াতসহ বিভিন্ন সংগঠনের বঞ্চিত নেতারা হাত মিলিয়েছেন। আবুল হোসেনের মন্ত্রিত্ব হারানো, পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারি ও মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগকে পুঁজি করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন বলে দাবি আবুল হোসেন পন্থিদের।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ এখন দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একদল সুবিধাভোগি অন্যদল সুবিধা বঞ্চিত। ফলে আওয়ামীলীগের বঞ্চিত নেতারা সাধারণ মানুষকে বোঝাতে চান, সৈয়দ আবুল হোসেন কালকিনির উন্নয়নের জন্য কিছুই করেন নি। তারা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবাসীদের মধ্যেও এ তথ্য প্রচার করছেন। কালকিনি ছাড়াও সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশা দেখে জনগণের মনে প্রশ্ন জাগে, সারাদেশের কথা বাদ দিলেও আবুল হোসেন তার নিজ এলাকার জন্যও কিছুই করেন নি। সঙ্গত কারণে মানুষের মনে ক্ষোভ দেখা দেয়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও তার ব্যর্থতার চিত্র ফুটে ওঠে। বাংলাদেশের মানুষ এখন অনেক সচেতন। তারা প্রতিদিন পত্রিকা পড়েন। টেলিভিশনে নিয়মিত খবর দেখেন। তারা এখন চায়ের দোকানে বসে সংবাদ দেখে স্বিদ্ধান্ত নিতে শিখেছেন। আবুল হোসেন না সোবহান গোলাপ। কে হবেন কালকিনির আগামী রাজনীতির কান্ডারী।
পদ্মা সেতুর ব্যর্থতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ বঙ্গের মানুষ। সময় মতো প্রতিশ্র“তির বাস্তবায়ন না করা তার ব্যর্থতা। যা শুধু স্থানীয় রাজনীতি নয় জাতীয় রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন সবাই। দুর্নীতির কথা বাদ দিলেও এ ব্যর্থতার দায়ভার কখনোই এড়ানো সম্ভব নয়। যদিও লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৈয়দ আবুল হোসেনকে ‘একজন দেশপ্রেমিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দেশের বৃহৎ স্বার্থেই তিনি পদত্যাগ করেছেন। তবে জনগণ এখনো বুঝে উঠতে পারেনি যে, বিশ্ব ব্যাংক এত অভিযোগ করার পরও কেন প্রধানমন্ত্রী তাকে দেশ প্রেমিক বললেন। তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এখন কোন দিকে যাবে? স্থানীয় রাজনীতিইতো এখন হুমকির মুখে।
এদিকে আব্দুস সোবহান গোলাপের অনুসারিরা কালকিনির আওয়ামীলীগের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিরোধী দলের সাথে আওয়ামীলীগের কোন রকম সংঘাত-সংঘর্ষ না থাকলেও নিজ দলের সাথে সংঘর্ষের কারণে তিনটি মামলা হয়েছে। নিজ দলের নেতা-কর্মীরা মার খেয়েছেন, জেল খেটেছেন। ফলে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী আবদুস সোবহান গোলাপের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করছেন আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা। তারা দাবি করেন, গোলাপ একটি সাজানো গোছানো দলের মধ্যে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। যেখানে সৈয়দ আবুল হোসেন চার বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন; সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী হয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ ছাড়া বঞ্চিতদের নিয়ে কীভাবে ঈদ শুভেচ্ছা জানান।
যে কারণে গত ৩১ জুলাই কালকিনির এনায়েতনগরের খালেকেরহাটে আবদুস সোবাহানের গণসংযোগে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা বাধা দিয়েছেন। স্থানীয় মহিলারা ঝাড়– মিছিল করে তাঁর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। যা কালকিনির রাজনৈতিক ইহিাসে প্রথম। তাই সচেতন মহল মনে করেন, আবুল হোসেনের সাজানো বাগানে এখন গোলাপ ফুল ফুটতে শুরু করেছে। হয়ত আগামীতে সে গোলাপ সৌরভ ছড়াবে। হতে পারে তা স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতিতে। এখন অপেক্ষা শুধু সময়ের। ‘কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়’ তা দেখার জন্য উৎসুক হয়ে আছে তৃতীয় পক্ষ।
সালাহ উদ্দিন মাহমুদ
লেখক, সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মী
সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের বারবার হোচট খাওয়াকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী এলাকা মাদারীপুর-৩ আসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারি আব্দুস সোবহান গোলাপ তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে উঠেছেন। হঠাৎ করে ‘উড়ে এসে জুড়ে বসা’র মতো নিজ এলাকায় গণসংযোগ, শুভেচ্ছা বিনিময়সহ বিভিন্ন কর্মকান্ড শুরু করেছেন। দল ক্ষমতায় আসার তিন বছর পরে হঠাৎ করে গোলাপের এমন কর্মকান্ডে স্থানীয় আওয়ামীলীগ পড়েছে মহা বিপাকে। গোলাপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দোহাই দিয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। ফলে স্থানীয় আওয়ামীলীগ এখন দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। যা আগামী নির্বাচনে কাল হতে পারে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সুত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ি, মাদারীপুর-৩ (কালকিনি-সদর) নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামীলীগের বর্তমান সাংসদ ও সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের ২৪ বছরের দূর্গ ভাঙতে আব্দুস সোবহান গোলাপের সাথে স্থানীয় আওয়মীলীগ, বিএনপি ও জামায়াতসহ বিভিন্ন সংগঠনের বঞ্চিত নেতারা হাত মিলিয়েছেন। আবুল হোসেনের মন্ত্রিত্ব হারানো, পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারি ও মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগকে পুঁজি করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন বলে দাবি আবুল হোসেন পন্থিদের।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ এখন দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একদল সুবিধাভোগি অন্যদল সুবিধা বঞ্চিত। ফলে আওয়ামীলীগের বঞ্চিত নেতারা সাধারণ মানুষকে বোঝাতে চান, সৈয়দ আবুল হোসেন কালকিনির উন্নয়নের জন্য কিছুই করেন নি। তারা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবাসীদের মধ্যেও এ তথ্য প্রচার করছেন। কালকিনি ছাড়াও সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশা দেখে জনগণের মনে প্রশ্ন জাগে, সারাদেশের কথা বাদ দিলেও আবুল হোসেন তার নিজ এলাকার জন্যও কিছুই করেন নি। সঙ্গত কারণে মানুষের মনে ক্ষোভ দেখা দেয়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও তার ব্যর্থতার চিত্র ফুটে ওঠে। বাংলাদেশের মানুষ এখন অনেক সচেতন। তারা প্রতিদিন পত্রিকা পড়েন। টেলিভিশনে নিয়মিত খবর দেখেন। তারা এখন চায়ের দোকানে বসে সংবাদ দেখে স্বিদ্ধান্ত নিতে শিখেছেন। আবুল হোসেন না সোবহান গোলাপ। কে হবেন কালকিনির আগামী রাজনীতির কান্ডারী।
পদ্মা সেতুর ব্যর্থতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ বঙ্গের মানুষ। সময় মতো প্রতিশ্র“তির বাস্তবায়ন না করা তার ব্যর্থতা। যা শুধু স্থানীয় রাজনীতি নয় জাতীয় রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন সবাই। দুর্নীতির কথা বাদ দিলেও এ ব্যর্থতার দায়ভার কখনোই এড়ানো সম্ভব নয়। যদিও লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৈয়দ আবুল হোসেনকে ‘একজন দেশপ্রেমিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দেশের বৃহৎ স্বার্থেই তিনি পদত্যাগ করেছেন। তবে জনগণ এখনো বুঝে উঠতে পারেনি যে, বিশ্ব ব্যাংক এত অভিযোগ করার পরও কেন প্রধানমন্ত্রী তাকে দেশ প্রেমিক বললেন। তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এখন কোন দিকে যাবে? স্থানীয় রাজনীতিইতো এখন হুমকির মুখে।
এদিকে আব্দুস সোবহান গোলাপের অনুসারিরা কালকিনির আওয়ামীলীগের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিরোধী দলের সাথে আওয়ামীলীগের কোন রকম সংঘাত-সংঘর্ষ না থাকলেও নিজ দলের সাথে সংঘর্ষের কারণে তিনটি মামলা হয়েছে। নিজ দলের নেতা-কর্মীরা মার খেয়েছেন, জেল খেটেছেন। ফলে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী আবদুস সোবহান গোলাপের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করছেন আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা। তারা দাবি করেন, গোলাপ একটি সাজানো গোছানো দলের মধ্যে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। যেখানে সৈয়দ আবুল হোসেন চার বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন; সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী হয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ ছাড়া বঞ্চিতদের নিয়ে কীভাবে ঈদ শুভেচ্ছা জানান।
যে কারণে গত ৩১ জুলাই কালকিনির এনায়েতনগরের খালেকেরহাটে আবদুস সোবাহানের গণসংযোগে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা বাধা দিয়েছেন। স্থানীয় মহিলারা ঝাড়– মিছিল করে তাঁর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। যা কালকিনির রাজনৈতিক ইহিাসে প্রথম। তাই সচেতন মহল মনে করেন, আবুল হোসেনের সাজানো বাগানে এখন গোলাপ ফুল ফুটতে শুরু করেছে। হয়ত আগামীতে সে গোলাপ সৌরভ ছড়াবে। হতে পারে তা স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতিতে। এখন অপেক্ষা শুধু সময়ের। ‘কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়’ তা দেখার জন্য উৎসুক হয়ে আছে তৃতীয় পক্ষ।
সালাহ উদ্দিন মাহমুদ
লেখক, সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মী