রবিবার, ১৩ মে, ২০১২

অধিকার চাই

সালাহ উদ্দিন মাহমুদ :

প্রথম দৃশ্য :
মঞ্চের পেছনে চিৎকার চেঁচামেচি। দৌঁড়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসে ইভা। রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকে। এমন সময রাজুর প্রবেশ।
রাজু : কিরে ইভা, তুই রাস্তায় দাড়ায়া কান্তাছোস ক্যান?
ইভা : বাড়ির মালিক মাইরা বাইর কইরা দিছে।
রাজু : ক্যান? কি অন্যায় করছোস?
ইভা : হাতের তোন পইরা একটা প্লেট ভাইঙ্গা গ্যাছে। আমি কী ইচ্ছা কইরা ভাঙছি?
রাজু : কস কি? তারা বুঝি তোরে খুব মারে?
ইভা : হ, ওঠতে-বইতে সব সময়ই মারে।
রাজু : কস কি? এরা কি মানুষ না? তা এহন কি করবি? কই যাবি?
ইভা : কই যামু , কি করমু কিছুই জানিনা।
রাজু : চল, তোরে আমাগো বাাড়ি নিয়া যাই। আমাগো বাড়ি তেমন কাজ-কর্ম নাই। আমার তো কোন বোন নাই। তুই খালি মার লগে থাকবি। চিন্তা করিস না, আমার লগে স্কুলে যাবি। আমার বোনের মতো থাকবি। যাবি তুই?
ইভা : কি কস, তোর বাপ-মা কি আমারে রাখবো?
রাজু: হ, রাখবো। হেদিন হুনি মায় আব্বারে কইয়- যদি একটা মাইয়া পাইতাম তয় ভালো অইতো। কাম-কাইজ করা লাগবো না। খালি আমার লগে লগে থাকলেই     অইবো।
ইভা: (একটু ভেবে) হ, আমি যামু তোর লগে। খাড়া, জামা-কাপড় কয়ডা লইয়া আহি।
রাজু : ল, আমিও তোর লগে যামু। তাগো কইয়াই তোরে নিয়া যামু। ( উভয়ের প্রস্থান)

দ্বিতীয় দৃশ্য :
কারখানায় কাজ করতে করতে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে অপু। দৌঁড়ে আসে জয় ও আকাশ। তুলে বসায়। পানি ছিটিয়ে জ্ঞান ফেরায়। কপালে হাত দিয়ে-
জয় : ইসরে, জ্বরে তোর গাও দি পুইরা যাইতাছে। কামে আইছোস ক্যান?
অপু : কামে না আইলে যে সবাই না খায়া থাকবো।
আকাশ : অষুধ খাইছোস?
অপু : না, টাহা আছিল না। মালিকরে কইছিলাম, কয় এহোন টাহা পাবি না। মাস গেলে একবারে দিমু। কইলাম, জ্বর আইছে। হে কয়, ইস্ ব্যাঙের আবার সর্দি।
জয়: হ, মালিকডা কেমন জানি চামার। মজুরীর টাহাই ঠিক মত দেয় না। আবার অষুধ কেনার টাহা দিব।
আকাশ: চল, তোরে গাড়িতে উডায়া দেই, বাড়ি যা গা।
অপু : না, হ্যালে একদিনের মজুরি কাইট্যা দিব। বাড়ি যামুনা। কষ্ট অইলেও কাম করতে অইবো। ঘরে একটা চাউলও নাই।
আকাশ : তাইলে এক কাম করি। আমার ধারে ২০ টাহা আছে। ( জয়কে লক্ষ করে) জয় তোর পকেটে কয় টাহা আছে?
জয় : আমার ধারে মাত্র ১০ টাহা আছে।
আকাশ: দে, আমরা টাহা দিয়া অর লেইগ্যা অষুধ কিইনা আনি। আমরা না হয় আইজ যাওয়ার সময় হাইটা যামু।
জয়: ( টাকা বের করে) নে, পারলে অপুর লেইগ্যা একটা কলা আর একটা রুটি আনিছ।ওতো দুপুরের খাওনও আনে নাই।
আকাশ : মালিক আহনের সময় অইয়া গেছে। আমি গেলাম , তুই অরে পিছনের গোডাউনে একটু শোয়ায়া মাথায় পানি দে।
অপু : না মালিক দেখলে বকাবকি করবো।
জয় : মালিক আইতে আইতে তোর জ্বর কইমা যাইবো। চল।
অপু : তয় চল। মালিক আইলে আমারে ইশারা দিস। ( উভয়ের প্রস্থান)

তৃতীয় দৃশ্য :
সাথী রাস্তায় কাগজ, বোতল ইত্যাদি কুড়ায়। এমন সময় রাজু ও ইভার প্রবেশ।
রাজু : কিরে সাথী, তুই দি এহন আর স্কুলে যাসনা । লেহা-পড়া বন্ধ করলি ক্যান?
সাথী: মোরা গরিব মানুষ। স্কুলে যামু ক্যামনে? বাপ নাই। মার অসুখ। অষুধ কেনার টাহা নাই। কাগজ-কলম কিনমু কেমনে?
ইভা : কাগজ-বোতল টোকায়া আর কত পাওয়া যায়?
সাথী : যা পাই। ল্যাহা-পড়া কি আমাগো লেইগ্যা? তুই না মাইনষের বাড়ি কাম করছ? তোরে স্কুলে যাইতে দেয়?
ইভা : তুই জানোস না, আমি এখন রাজু গো ঘরে থাকি। তারা আমারে মাইয়ার মত জানে।ভালো জায়গায় থাকি, ভালো কাপড় পড়ি, ভালো খাই, লেহা-পড়া করায়, অসুখ-বিসুখ অইলে অসুধ কিন্যা দেয়। মনে অয় নিজের বাড়ি।
সাথী : ইসসি রে, সবাই যদি এমন অইতো? তাইলে আমাগো মত অসহায় শিশুগো কোন কষ্টই থাকতো না।
রাজু : আচ্ছা, তুই কি জানোস না, ওয়ার্ল্ড ভিশন অসহায় শিশুগো সাহায্য করে?
সাথী : না, মুই তো এর আগে হুনি নাই।
ইভা: হ, বই-খাতা থেইকা শুরু কইরা অনেক সুযোগ সুবিধা দেয়।
সাথী : আমারে দিবো নি?
রাজু : দিবো না ক্যান? অবশ্যই দিবো। চল তোরে ওয়ার্ল্ড ভিশনের শিশু ফোরামের সদস্য বানায়া দেই।
ইভা: হ চল, বাড়ি যাওয়ার আগে তোরে অপিসে নিয়া যামু।
সাথী : কোন অপিসে?
রাজু : আমাগো শিশু ফোরামের অপিসে। যেইডা আমাগো ভরসা। অসহায়, অবহেলিত, অধিকার বঞ্চিত শিশুদের একমাত্র আশ্রয়।
সাথী : হ, আমারও তো মানুষ। আমরাও বাঁচার মতো বাঁচতে চাই। আমরাও আমাগো অধিকার চাই।
ইভা : চল তাইলে। ( উভয়ের প্রস্থান)। পেছনে ‘আমরা করব জয়.....’ গানটি বেজে উঠবে। সবাই ফ্রিজ।

চাইছি তোমার বন্ধুতা...

অনন্ত সালু:
কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছি। হঠাৎ এক বালিকা এসে সামনে দাঁড়ালো। বয়স তের কি চৌদ্দ। সাথে ওর বয়সী একটি ছেলে। মোটামুটি পরিচিত। তবে তেমন কোন ঘনিষ্টতা ছিল না আগে। মেয়েটি বলল,‘তুমি কি আমার বন্ধু হবে?’ কিছুটা অবাক হলাম। এইটুকুন মেয়ে বলে কি? তবুও বললাম,‘আচ্ছা ঠিক আছে।’ ও বলল,‘তোমাকে বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা।’ হঠাৎ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। কি আর করা- হাতে ছিল ছোট্ট একটা বাতাবি লেবু। ওর হাতে দিয়ে বললাম,‘ছোট্ট বন্ধুকে এই ছোট্ট লেবুর শুভেচ্ছা।’ ও তাতেই মহা খুশি। ওরা হাসতে হাসতে চলে গেল।
পরদিন ওর সাথে থাকা ছেলেটার কাছে জানলাম, আমাকে নিয়ে ওদের মধ্যে বাজি হয়েছিল। ওদের ধারণা, আমি খুব গম্ভীর প্রকৃতির লোক। কেউ যদি আমাকে বন্ধু বানাতে পারে তাকে পুরস্কৃত করা হবে। মেয়েটি বাজিতে জিতে গেল।
দু’দিন পর আবার দেখা। মেয়েটার হাতে একটা জবা ফুল। অনেক আশা নিয়ে ফুলটা চাইলাম। ও বলল, ‘এটা দেওয়া যাবে না। সবার হাতে ফুল মানায় না।’ আমি অপমান ও কষ্টে একবুক অভিমান নিয়ে চলে গেলাম। তারপর অনেক দিন কোন দেখা নেই।
হঠাৎ একদিন পাশে এসে দাঁড়িয়ে চমকে দিয়ে বলল,‘বন্ধু কী খবর?’ আমি অভিমানে মুখ ফিরিয়ে বললাম,‘আমার কোন বন্ধু নেই। তাছাড়া সবার সাথে বন্ধুত্ব মানায় না।’ মেয়েটা আমার কথায় কষ্ট পেল। ওর চাঁদের মতো মুখটা মুহূর্তেই ফ্যাকাশে হয়ে গেল। কিছুক্ষণ কারো মুখে কোন কথা নেই। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মেয়েটা নি:শব্দে চলে গেল। ওর পথপানে তাকিয়ে কেমন যেন বুকটা মোচড় দিয়ে উঠলো। একটা অপরাধবোধ যেন গ্রাস করছে আমাকে। এ কেমন খেলায় মেতে উঠেছি আমরা।
পরদিন মেয়েটা এক বন্ধুর সাথে তার বাসায় যাচ্ছিল। পথ আগলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বললাম,‘গতকালের আচরণের জন্য আমি দু:খিত!’ ওর চোখ ভরে উঠলো জলে। কান্নাভেজা কন্ঠে বলল,‘দু:খিত আমার কোন বন্ধু নেই। আমি আপনাকে চিনিনা।’ নির্বাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। 
হতে পারে সে বাজি ধরেছিল। আসলেই কি আমি গম্ভীর প্রকৃতির? আমি কি কারো বন্ধু হতে পারি না। তাছাড়া বন্ধুর সাথে অভিমান হতেই পারে। তাই বলে কি একটা সম্পর্ক অঙ্কুরেই বিনষ্ট হবে? তবে কি আমি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছি? কী এমন রহস্য লুকিয়েছিল ঐ ফুলে? ফুল দিতে না পারুক, তাই বলে কি কাঁটা দিয়ে তার প্রতিদান দিবে? আর কত বড় হবে অনুতপ্তের পাহাড়? এর শেষ কোথায়?
এক বছর গত হতে চলল। আর কোন কথা হয়নি সেই বালিকা বন্ধুর সাথে। হয়তো সে এখন বালিকা থেকে কিশোরী। একদিন কিশোরী থেকে যুবতী হবে। শেষে যুবতী থেকে বৃদ্ধা। তবুও তাকে বলবো, চাইছি তোমার বন্ধুতা...।

কালকিনি শিল্পকলা একাডেমি চলছে পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীর মতো

- সালাহ উদ্দিন মাহমুদ :

মানুষ স্বভাবতই বিনোদন প্রিয়। শত ব্যস্ততার মাঝেও তারা একটু বিনোদন খোঁজে। দুঃখের সাগরে ডুব দিয়েও সুখের মনি-মুক্তা আহরণ করতে চায়। এটা মানুষের চিরন্তন ধারা। আপামর মানুষের বিনোদন আকাঙ্খা নিবারণ করতে একদল মানুষ ‘নিজের খেয়ে বনের মেষ তাড়ানো’র মতো বিনোদন দিতে দিনরাত খেটে মরে। স্বার্থকতা এইÑ মনের ক্ষুধা মেটে।
মানুষের ক্ষুধা তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়। এক. পেটের ক্ষুধা দুই. দেহের ক্ষুধা তিন. মনের ক্ষুধা। পেটের ক্ষুধার জন্য প্রয়োজন পরিশ্রম, দেহের ক্ষুধার জন্য প্রয়োজন সঙ্গম আর মনের ক্ষুধার জন্য প্রয়োজন বিনোদন।
বিনোদনের জন্যই গড়ে তুলতে হয় শিল্পকলা। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডই আবহমান বাঙলার বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। এই সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে প্রস্ফুটিত করতে তৎকালীন কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছিলেন কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ খালেকুজ্জামানসহ অনেকেই। তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গড়ে উঠল একটি প্রতিষ্ঠান।
যখন স্থানাভাব দেখা দিল- সর্বসম্মতিক্রমে সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের লাইব্রেরি ভবনের মিলায়তন হলো এর অস্থায়ী কার্যালয়। সেখানে থাকতে হলো না বেশি দিন। স্থানান্তর করা হলো উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে। সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার ৫ টি বিভাগ নিয়ে চলতে থাকে এর কার্যক্রম।
দেখতে দেখতে দাতা সদস্য ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, কালকিনি এডিপি’র আর্থিক সহায়তায় উপজেলার কাঁঠাল তলায় তোলা হলো নতুন ভবন। তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিনের তৎপরতায় ভাল একটি অবস্থানে চলে এলো কালকিনি শিল্পকলা একাডেমি ।
কিন্তু ‘অতি সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট’ হওয়ার মতো হঠাৎ করেই স্থবির হয়ে পড়লো একাডেমির কার্যক্রম। পরিচালনা পরিষদের অন্তর্দ্বন্দ্ব, অর্থনৈতিক সংকটসহ নানাবিধ কারনে দিনদিন পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীর মত চলছে প্রতিষ্ঠানটি। হতাশ হয়ে পড়লো বিনোদন প্রিয় মানুষগুলো।
একাডেমির বর্তমান অবস্থা বড়ই নাজুক। নৃত্য, সংগীত, চিত্রকলা, আবৃত্তি ও নাট্যকলা বিভাগ থাকলেও নৃত্য, সংগীত, চিত্রকলা চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে। আবৃত্তি ও নাট্যকলা রয়েছে নিষ্ক্রিয়। যে তিনটি বিভাগ চালু আছে তাতে আবার দক্ষ প্রশিক্ষক না থাকায় আগ্রহ হারাতে বসেছে  শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানে স্বজনপ্রীতির অভিযোগেও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে অনেকে। একাডেমির বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৫০ জনের মতো। সবাই শিশু; যেন প্রাপ্তবয়স্কদের প্রবেশ নিষেধ। অনেকটা শিশু একাডেমির মতো। মাঝে মাঝে বিভ্রম হয় যে, এটা কি শিল্পকলা একাডেমি না শিশু একাডমি। সে যাই হোক, এখানে প্রশিক্ষক রয়েছেন তিন জন। সংগীতে সীমা সাহা ও মিলন বড়াল আর চিত্রকলায় আনোয়ার হোসেন। এদের সম্মানী ভাতা কম হওয়ায় কাজের প্রতি দরদও কম। এখানে কেয়ারটেকার ও প্রশিক্ষকের ভাতা সমান বলে অনেকের আত্মমর্যাদায় আঘাত হানে। এছাড়া প্রশিক্ষকদের চার - পাঁচ মাসের ভাতাও বকেয়া রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন তারা।
এখন কথা হচ্ছে- সবকিছুর মূলে অর্থনৈতিক দৈন্যদশা। সাদামাঠাভাবে ‘ওঠ ছুড়ি তোর বিয়ে’ বলে চালাতে  হচ্ছে অনুষ্ঠান। দিনদিন শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠানের প্রতি আগ্রহ হারাতে বসেছে সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষ। এভাবে চলতে থাকলে একসময় মানুষ বিনোদনবিমুখ হয়ে পড়বে। আস্থা হারাবে শিল্প- সংস্কৃতির ওপর। এখনই সময় ঘুরে দাঁড়াবার। হারিয়ে যাওয়া যৌবন ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন মানসিক শক্তি। সঠিক পরিচর্যাই দূর করতে পারে পক্ষাঘাত সমস্যা।
একটু আন্তরিকতা, উদার মানসিকতা ও পরিষ‹ার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিতে পারে কালকিনি শিল্পকলা একাডেমির বর্তমান চেহারা। মুখ ফেড়ানো মানুগুলোকে টেনে আনতে পারে বটতলা, হাটখোলা ও নবান্ন উৎসবে কিংবা বর্ষবরণে। ‘এসো মিলি সৃষ্টির মোহনায়, গড়ে তুলি সুন্দর আগামী’-এই হোক আমাদের দীপ্ত শপথ।
সালাহ উদ্দিন মাহমুদ,
লেখক, সাংবাদিক ও সংস্কৃতি কর্মী

অন্ধকার

- বিমূর্ত প্রত্যয়

আমি কোথাও কোন আলো দেখিনি-
দেখেছি-
দুর্গন্ধময় ড্রেনে জারজ শিশুর কান্না।
দেখেছি -
মানুষ রূপী নরপিশাচের শিকারী
দুর্বল নারীর অসহায়ত্ব।
দেখেছি -
রাস্তার পাশে বস্ত্রহীন এক পাগলীকে।
দেখেছি -
স্বার্থান্বেষী সমাজের অবিচার।
দেখেছি -
নিঃস্ব জীবনের দিশেহারা চিত্র।
দেখিনি -
কোথাও কোন মনুষ্যত্বের আলো।
অন্ধকার....অন্ধকার...অন্ধকার দেখেছি।