সালাহ উদ্দিন মাহমুদ:
আমার জীবনে বর্ষা আসে বিরহ নিয়ে। তাই আমার কাছে মনে হয় বর্ষা মানে ক্ষণে ক্ষণে বিরহের গান। বলা নেই - কওয়া নেই অমনি শুরু হয়ে গেল অশ্র“র বর্ষণ। কখনো কখনো মনে হয় চোখ ভরা অভিমান নিয়ে ধেয়ে আসা কিশোরীর পায়ের নূপুরের রিনি ঝিনি আওয়াজ।
এখনো বর্ষা আমাকে কাঁদায়। তাই আমার কাছে বর্ষা মানে গর্জে ওঠা নদী। দু’কুল ছাপিয়ে তলিয়ে দেওয়া গ্রামের পর গ্রাম। সুখ-দু:খে একাকার হয়ে ভেসে বেড়ানো পাল তোলা নৌকা। বিরহী সুর জেগে ওঠা মাঝির ভাটিয়ালি গান। কলা গাছের ভেলায় ভেসে যাওয়া ক্ষুদ্র জীবন। ব্যাঙের একটানা ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ ডাকে দূর থেকে ভেসে আসা রাগ-রাগিণী। পানকৌড়ির ডুবসাঁতারের খেলার মতো প্রিয়তমার লুকোচুরি।
তবুও অসহায় আমি নি:সঙ্গ হয়ে আজ চার দেয়ালের বন্দী জীবন থেকে বের হয়ে বারবার ফিরে যেতে চাই বর্ষাস্নাত গাঁয়ের বুকে। যান্ত্রিক সভ্যতার নাগপাশ ছিড়ে দু’হাতের আজলা ভরে কুড়িয়ে নিতে চাই প্রকৃতির নির্মল বাতাস। ইচ্ছে হয় কাদা জলে হোচট খেতে, ডিঙ্গি নৌকায় চড়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যেতে। সাঁঝ পোহানো কোন রাতে জোছনা বিলাসের আয়োজন করতে। গভীর রাতে বিলের জলে নৌকা ছেড়ে দিয়ে সুখের বাঁশরী বাজাতে।
সম্বিত ফিরে পেয়ে দেখি বৃষ্টির তোড়ে থরথর কওে কাঁপে জানালার শার্শি। ঝড়ো হাওয়ার রাতে বিরহের গান গেয়ে যায় বাতাস। এক পশলা বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দেয় শরীর। কী এক স্বপ্নীল শিহরণ জেগে ওঠে মনে। মনে পড়ে এক বর্ষারাতে হাতে হাত রেখে বলেছিল সোনাবউ- ‘ আজ জোছনার আলোয় বৃষ্টির জলে ভিজবো দু’জন’।
এখনো আগের মতোই বর্ষা আসে ; আবার চলেও যায়। শুধু আমার সোনাবউ অন্য কোথাও। বৃষ্টির শব্দে তার কান্নার ধ্বনি ভেসে আসে। দু'চোখের তারায় ভেসে ওঠে বৃষ্টিভেজা একটি গ্রাম। মাঝখানে আমি আর সোনাবউ।
দরজা খুলে বাইরে এসে দাঁড়াই খোলা আকাশের নিচে। বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা তার চোখের অশ্র“ হয়ে জমা হয় আমার অসহায় হাতের তারায়.....।
আমার জীবনে বর্ষা আসে বিরহ নিয়ে। তাই আমার কাছে মনে হয় বর্ষা মানে ক্ষণে ক্ষণে বিরহের গান। বলা নেই - কওয়া নেই অমনি শুরু হয়ে গেল অশ্র“র বর্ষণ। কখনো কখনো মনে হয় চোখ ভরা অভিমান নিয়ে ধেয়ে আসা কিশোরীর পায়ের নূপুরের রিনি ঝিনি আওয়াজ।
এখনো বর্ষা আমাকে কাঁদায়। তাই আমার কাছে বর্ষা মানে গর্জে ওঠা নদী। দু’কুল ছাপিয়ে তলিয়ে দেওয়া গ্রামের পর গ্রাম। সুখ-দু:খে একাকার হয়ে ভেসে বেড়ানো পাল তোলা নৌকা। বিরহী সুর জেগে ওঠা মাঝির ভাটিয়ালি গান। কলা গাছের ভেলায় ভেসে যাওয়া ক্ষুদ্র জীবন। ব্যাঙের একটানা ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ ডাকে দূর থেকে ভেসে আসা রাগ-রাগিণী। পানকৌড়ির ডুবসাঁতারের খেলার মতো প্রিয়তমার লুকোচুরি।
তবুও অসহায় আমি নি:সঙ্গ হয়ে আজ চার দেয়ালের বন্দী জীবন থেকে বের হয়ে বারবার ফিরে যেতে চাই বর্ষাস্নাত গাঁয়ের বুকে। যান্ত্রিক সভ্যতার নাগপাশ ছিড়ে দু’হাতের আজলা ভরে কুড়িয়ে নিতে চাই প্রকৃতির নির্মল বাতাস। ইচ্ছে হয় কাদা জলে হোচট খেতে, ডিঙ্গি নৌকায় চড়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যেতে। সাঁঝ পোহানো কোন রাতে জোছনা বিলাসের আয়োজন করতে। গভীর রাতে বিলের জলে নৌকা ছেড়ে দিয়ে সুখের বাঁশরী বাজাতে।
সম্বিত ফিরে পেয়ে দেখি বৃষ্টির তোড়ে থরথর কওে কাঁপে জানালার শার্শি। ঝড়ো হাওয়ার রাতে বিরহের গান গেয়ে যায় বাতাস। এক পশলা বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দেয় শরীর। কী এক স্বপ্নীল শিহরণ জেগে ওঠে মনে। মনে পড়ে এক বর্ষারাতে হাতে হাত রেখে বলেছিল সোনাবউ- ‘ আজ জোছনার আলোয় বৃষ্টির জলে ভিজবো দু’জন’।
এখনো আগের মতোই বর্ষা আসে ; আবার চলেও যায়। শুধু আমার সোনাবউ অন্য কোথাও। বৃষ্টির শব্দে তার কান্নার ধ্বনি ভেসে আসে। দু'চোখের তারায় ভেসে ওঠে বৃষ্টিভেজা একটি গ্রাম। মাঝখানে আমি আর সোনাবউ।
দরজা খুলে বাইরে এসে দাঁড়াই খোলা আকাশের নিচে। বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা তার চোখের অশ্র“ হয়ে জমা হয় আমার অসহায় হাতের তারায়.....।