সালাহ উদ্দিন মাহমুদ:
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে অগণিত বন্ধু আমার। তাদের ছবি দেখি। অনলাইনে কথাও হয়। হাই- হ্যালো ! কেমন আছ? কি করছ...? ইত্যাদি। কেবল জানার জন্যই জানা। অন্তর থেকে কোন টান অনুভূত হয়না। অনেকটা যন্ত্রমানবের মতো। সভ্যতার উৎকর্ষতার সাথে সাথে আজকাল আমিও হয়ে উঠেছি যান্ত্রিক।
বন্ধুদের প্রসঙ্গ এলে কাজী নজরুল ইসলামের একটা চিঠির কয়েকটি কথা মনে পড়ে-‘ বন্ধু আমি পেয়েছি- যার সংখ্যা আমি নিজেই করতে পারব না। এরা সবাই আমার হাসির বন্ধু, গানের বন্ধু। ফুলের সওদার খরিদ্দার এরা। এরা অনেকেই আমার আত্মীয় হয়েছে, প্রিয় হয়ে ওঠেনি কেউ।’
যান্ত্রিক বন্ধুদের কথা বলছিলাম। যার সংখ্যা অগণিত। বন্ধু হয়েছে ঠিকই ; কিন্তু প্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি কেউ। ফেসবুকের ফাইন্ড ফ্রেন্ড্সে গিয়ে আজও হারিয়ে যাওয়া পুরনো দিনের বন্ধুদের খুঁজি। কোন কোন নিস্তব্ধ রাতে যাদেরকে প্রিয়ার মতো জড়িয়ে ধরে শুয়েছিলাম। মনের অব্যক্ত কথাগুলো বলতে বলতে রাত ভোর করে দিয়েছি।
যান্ত্রিক বন্ধুদের সব কথা বলা হয় না। সব ব্যথার অংশীদারও করা হয় না। তাই সত্যিকারের বন্ধুদের আজও খুঁজি শেষ বিকেলের কোন চায়ের আড্ডায়। নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে সূর্য অস্ত যাবার দৃশ্য দেখতে দেখতে। খুঁজি ব্যস্ততম জনপদে।
আজ থেকে আট বছর আগের কথা। ঢাকার শাহজাহান পুরে থাকতে ভালোবেসে ফেলি খন্দকার মাহমুদুল হক মিলনকে। দু’জনার মনের অনেক কথা ভাগাভাগি করেছি আমরা। জীবনের ব্যর্থতা-হতাশার গল্প বলে কাটিয়ে দিয়েছি রাত। একসাথে অনেক ঘুরেছি। শাহজাহান পুর থেকে হাটতে হাটতে চলে গেছি টি এস সি। শহীদ দিবসে গিয়েছি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। কত স্মৃতি আজ মনে পড়ে। কিন্তু সেই প্রিয় মানুষটি আজ কোথায় জানি না। তার বাড়ি ছিল রাজশাহী। তখন আমার ফোন ছিলনা। তবুও তার একটা নম্বর আমার ডায়রিতে লিখে রেখেছিলাম। কিন্তু সে নম্বরও এখন বন্ধ। তার বাসার ঠিকানাও ছিল। চিঠি দিয়েছি- তার কোন উত্তর পাইনি। আজো মনে পড়ে তাকে। এখন ফোনে- ফেইস বুকে কিংবা কর্মস্থলে এতো বন্ধু আমার। অথচ আজো তার শূন্যতা আমাকে গ্রাস করে।
সুমনের একটা গানের কথা ঘুরে-ফিরে মনে আসে-`হঠাৎ রাস্তায় আপিস অঞ্চলে, হারিয়ে যাওয়া মুখ চমকে দিয়ে বলে - বন্ধু কী খবর বল? কতদিন দেখা হয়না।’ এমন একটা মুহূর্তের জন্য আমি আজও প্রতীক্ষায় থাকি। গলির মোড়ে কিংবা পার্কে হঠাৎ কেউ পিঠ চাপড়ে চমকে দিক। তাকিয়ে দেখবো শৈশবের কোন বন্ধু সহাস্যবদনে হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে বুকে টেনে নেওয়ার জন্য। কেবল ঘুরে-ফিরে দু:সময়ের বন্ধুদের কথাই মনে পড়ে। কারণ দু:সময়ের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু। তাই অসংখ্য বন্ধুর ভিড়ে আজও মনে পড়ে পুরনো দিনের সেই চেনা মুখগুলো। যে মুখ থেকে একদিন উচ্চারিত হবেÑ বন্ধু কী খবর বল...?
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে অগণিত বন্ধু আমার। তাদের ছবি দেখি। অনলাইনে কথাও হয়। হাই- হ্যালো ! কেমন আছ? কি করছ...? ইত্যাদি। কেবল জানার জন্যই জানা। অন্তর থেকে কোন টান অনুভূত হয়না। অনেকটা যন্ত্রমানবের মতো। সভ্যতার উৎকর্ষতার সাথে সাথে আজকাল আমিও হয়ে উঠেছি যান্ত্রিক।
বন্ধুদের প্রসঙ্গ এলে কাজী নজরুল ইসলামের একটা চিঠির কয়েকটি কথা মনে পড়ে-‘ বন্ধু আমি পেয়েছি- যার সংখ্যা আমি নিজেই করতে পারব না। এরা সবাই আমার হাসির বন্ধু, গানের বন্ধু। ফুলের সওদার খরিদ্দার এরা। এরা অনেকেই আমার আত্মীয় হয়েছে, প্রিয় হয়ে ওঠেনি কেউ।’
যান্ত্রিক বন্ধুদের কথা বলছিলাম। যার সংখ্যা অগণিত। বন্ধু হয়েছে ঠিকই ; কিন্তু প্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি কেউ। ফেসবুকের ফাইন্ড ফ্রেন্ড্সে গিয়ে আজও হারিয়ে যাওয়া পুরনো দিনের বন্ধুদের খুঁজি। কোন কোন নিস্তব্ধ রাতে যাদেরকে প্রিয়ার মতো জড়িয়ে ধরে শুয়েছিলাম। মনের অব্যক্ত কথাগুলো বলতে বলতে রাত ভোর করে দিয়েছি।
যান্ত্রিক বন্ধুদের সব কথা বলা হয় না। সব ব্যথার অংশীদারও করা হয় না। তাই সত্যিকারের বন্ধুদের আজও খুঁজি শেষ বিকেলের কোন চায়ের আড্ডায়। নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে সূর্য অস্ত যাবার দৃশ্য দেখতে দেখতে। খুঁজি ব্যস্ততম জনপদে।
আজ থেকে আট বছর আগের কথা। ঢাকার শাহজাহান পুরে থাকতে ভালোবেসে ফেলি খন্দকার মাহমুদুল হক মিলনকে। দু’জনার মনের অনেক কথা ভাগাভাগি করেছি আমরা। জীবনের ব্যর্থতা-হতাশার গল্প বলে কাটিয়ে দিয়েছি রাত। একসাথে অনেক ঘুরেছি। শাহজাহান পুর থেকে হাটতে হাটতে চলে গেছি টি এস সি। শহীদ দিবসে গিয়েছি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। কত স্মৃতি আজ মনে পড়ে। কিন্তু সেই প্রিয় মানুষটি আজ কোথায় জানি না। তার বাড়ি ছিল রাজশাহী। তখন আমার ফোন ছিলনা। তবুও তার একটা নম্বর আমার ডায়রিতে লিখে রেখেছিলাম। কিন্তু সে নম্বরও এখন বন্ধ। তার বাসার ঠিকানাও ছিল। চিঠি দিয়েছি- তার কোন উত্তর পাইনি। আজো মনে পড়ে তাকে। এখন ফোনে- ফেইস বুকে কিংবা কর্মস্থলে এতো বন্ধু আমার। অথচ আজো তার শূন্যতা আমাকে গ্রাস করে।
সুমনের একটা গানের কথা ঘুরে-ফিরে মনে আসে-`হঠাৎ রাস্তায় আপিস অঞ্চলে, হারিয়ে যাওয়া মুখ চমকে দিয়ে বলে - বন্ধু কী খবর বল? কতদিন দেখা হয়না।’ এমন একটা মুহূর্তের জন্য আমি আজও প্রতীক্ষায় থাকি। গলির মোড়ে কিংবা পার্কে হঠাৎ কেউ পিঠ চাপড়ে চমকে দিক। তাকিয়ে দেখবো শৈশবের কোন বন্ধু সহাস্যবদনে হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে বুকে টেনে নেওয়ার জন্য। কেবল ঘুরে-ফিরে দু:সময়ের বন্ধুদের কথাই মনে পড়ে। কারণ দু:সময়ের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু। তাই অসংখ্য বন্ধুর ভিড়ে আজও মনে পড়ে পুরনো দিনের সেই চেনা মুখগুলো। যে মুখ থেকে একদিন উচ্চারিত হবেÑ বন্ধু কী খবর বল...?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন