রচনা- সালাহ উদ্দিন মাহমুদ,
পরিচালক, প্রথমা রঙ্গমঞ্চ, কালকিনি।
আলাপ- ০১৭২৫৪৩০৭৬৩, ০১৮২৯৭৬৭২৫৮
প্রযোজনা- ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ,কালকিনি এডিপি।
পরিবেশনা- শিশু ফোরাম, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ,কালকিনি এডিপি।
চরিত্র: অভি,রনি,নুসরাত,জাকির,রাজিয়া,পুলিশ,আকাশ ও আফিয়া
প্রথম দৃশ্য:
রাস্তায় অভি ও রনি দাঁড়িয়ে আছে। কারো জন্য অপো। এদিক ওদিক তাকায়। এমন সময় নুসরাতের আগমন।
অভি: দোস্ত, ওই যে তোর পেয়ারের নুসরাত আইতাছে।
রনি: কই, কই?
অভি: আরে ওইযে, দ্যাক্ চাইয়া।
রনি: ইয়েস, তাইতো। কিন্তু মাইয়ারতো অনেক দেমাগ। মা মারা মাইয়া, কেবল কাস নাইনে পড়ে। তাতেই ভাব কত দ্যাকছোস?
অভি: হ্যা, লাইনে আনতে সময় লাগবো। ছোট মানুষতো। তাছাড়া তোর তো আবার রেকর্ড ভালো না। (কাছাকাছি আসলে গতিরোধ করে)
অভি: দাড়াও নুসরাত, রনি তোমারে যা কইছে তার উত্তর দিয়া যাও।
নুসরাত: আমি তার সাথে কথা বলতে রাজি নই। আমিতো আগেই বলেছি আমাকে ডিস্টার্ব করবেন না। তাহলে বাবার কাছে বলতে বাধ্য হব।
রনি: ডিস্টার্ব, কিসের ডিস্টার্ব। আমি তো তোমাকে ভালোবাসি। এতে বাবার কাছে বলার কি আছে?
নুসরাত: দ্যাখ তোমরা ডিস্টার্ব কর বলে এই অল্প বয়সে বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছে। আমার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মেয়ে বলে কি এ সমাজে আমাদের কোন অধিকার নাই।
রনি: আমি তোমাকে বিয়ে করবো।
নুসরাত: অসম্ভব। তোমার মতো একটা বখাটেকে বিয়ে করবো আমি। মরে গেলেও না। তোমার জন্য তায়েবা আত্মহত্যা করেছে। তুমি জেল খেটেছো। জেল থেকে বের হয়ে আমার পিছু নিয়েছ। আর এখনোতো আমার বিয়ের বয়সই হয়নি।
রনি: তোমাকে পেলে আমি ভালো হয়ে যাব।
নুসরাত: যে ভালো হবার সে এমনিতেই হয়। আমার পথ ছাড়ো। বাবা আামার জন্য বসে অছে।
রনি: তুমি আমার সাথে চল। আমি আজ তোমাকে নিয়ে যাব। (হাত ধরে)
নুসরাত: অসম্ভব। ( থাপ্পড় দেয়) (নুসরাতের প্রস্থান)
রনি: (গালে হাত দিয়ে) আমি তোকে দেখে নেব শালি। তোর জীবন আমি তছনছ করে দেব। তোর সংসারে আগুন লাগিয়ে দেব। হু.. কত বড় সাহস, রনির গায়ে হাত তোলে।
অভি: আমি জানতাম, সোজা আঙুলে ঘি উঠবে না, আঙুল একটু বাকা করতে হবে। চল, একদিন না একদিন এর খেসারাত ওকে দিতে হবে। রাজিয়ার সাথে কথা বলে প্ল্যান করতে হবে। আর সুযোগের অপোয় থাকতে হবে। (প্রস্থান)
দ্বিতীয় দৃশ্য:
নুসরাতের চুলের মুঠি ধরে নিয়ে আসে জাকির। ছুঁড়ে ফেলে দেয় মেঝেতে। নুসরাত উবু হয়ে কাঁদতে থাকে।
জাকির: ইকটু খানি মাইয়া তার আবার বড় বড় কথা। আমার টাকা চাই টাকা। টাকা কই? আনতে পারোস নাই। পারবি কেমনে? বাপের থাকলে তো। বিয়ার সময় তো বড় বড় কতা কইছিলো তোর বাপ।
নুসরাত: আর কত দিব। দিতে দিতে তো বাপজান জমি-জিরাত সব বেইচ্যা দিছে। আর পাইবো কই।
জাকির: টাকা কই পাইবো, তা আমি কি জানি। টাকা দিতে না পারলে সোজা বাপের বাড়ি চইলা যা। ( জাকিরের প্রস্থান)
নুসরাত: হ যামু, এই নরকের মধ্যে আর এক মুহূর্তও থাকমু না। ( নুসরাতের প্রস্থান।)
(রাস্তায় পূর্ব পরিচিত রাজিয়ার সাথে দেখা।)
রাজিয়া: কিরে নুসরাত তোর খবর কি?
নুসরাত: আপা আমার সব শ্যাষ অইয়া গেছে।
রাজিয়া: ক্যান কি অইছে?
নুসরাত: দ্যাহো আপা, বখাটে রনির ভয়ে বাজানে অল্প বয়সে বিয়া দিলো। লেখাপড়া বন্ধ অইলো। এহন আবার যৌতুকের কারণে আমার স্বামী বাড়ি থিকা বাইর কইরা দিলো। আামি এহন কি করুম আপা। আমারতো উভয় সঙ্কট।
রাজিয়া: ও তাই। যাক, তুমি কোন চিন্তা কইরো না। আচ্ছা চাকরি করবা তুমি?
নুসরাত: চাকরি? কেডা দিবো আমারে চাকরি।
রাজিয়া: সেই ব্যবস্থা আমি করুম। শোন, শহরে আমার পরিচিত একজন আছে। একটা এনজিওর জন্য কিছু মেয়ে চাইছিলো। দাড়াও ফোন দিয়া দেখি। (ফোন দেয়)
হ্যালো, দাদা আমি রাজিয়া। হ হ । একটা মেয়ে আছে। হ হ । পারবো। না না । কোন চিন্তা নাই। হ হ । আমি কাইল নিয়া আসবো। হ হ । রাখি। ( ফোন রেখে)
হ কাজ হয়ে গেছে। তোমাকে নিয়ে কালকে যেতে বলেছে।
নুসরাত: এহন তাইলে আমি কই যামু। এইভাবে বাজানের কাছে যাইতে পারমু না।
রাজিয়া: আচ্ছা তাইলে চল আমার বাসায়।
নুসরাত: হ, তাইলে তোমার বাসাতেই চলো।
রাজিয়া: হ, খালি এক রাইতের ব্যাপার। সকালে তো তোওে নিয়া শহরেই চইলা যামু। তারপর নতুন জায়গা, নতুন চাকরি, নতুন দুনিয়া। (প্রস্থান)
তৃতীয় দৃশ্য:
নুসরাত ও রাজিয়া শহরে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হয়। এমন সময় পুলিশসহ আকাশ ও আফিয়ার আগমন। পুলিশ দেখে রাজিয়া পালাবার পথ খোঁজে। পুলিশ রাজিয়ার পথ আগলে দাঁড়ায়Ñ
পুলিশ: দাঁড়ান, আপনি রাজিয়া?
রাজিয়া: (এদিক ওদিক তাকিয়ে) ক্যান বলুন তো।
নুসরাত: হ্যা সার, ওনার নাম রাজিয়া। আমারে চাকরি দিব। আমারে নিয়া শহরে যাইব।
পুলিশ: (নুসরাতের উদ্দেশ্যে) ও আপনাকে মিথ্যা বলেছে। (রাজিয়ার উদ্দেশ্যে) রাজিয়া নারী ও শিশু পাচারের অভিযোগে আপনাকে গ্রেফতার করা হলো।
রাজিয়া: অফিসার আপনি ভুল করছেন।
পুলিশ: না সব প্রমাণ নিয়েই আমরা এসেছি। এর আগে আপনি পাঁচ জন নারী ও শিশুকে পাচার করেছেন। (আকাশকে উদ্দেশ্য করে) আকাশ তোমরা নুসরাতকে নিয়ে বাড়ি গিয়ে ওর বাবাকে নিয়ে থানায় এসো। রাজিয়া আপনি থানায় চলুন। (প্রস্থান)
আকাশ: নুসরাত তুমি অনেক বড় বিপদ থেকে বেঁচে গেছ। রাজিয়া ভালো মেয়ে নয়। ও কাজ দেওয়ার কথা বলে মেয়েদেও নিয়ে বিক্রি কওে দেয়।
আফিয়া: হ্যা নুসরাত, আকাশ ঠিকই বলেছে। তোমার বিপদের কথা আমরা শুনেছি । তুমি চিন্তা করো না। আমারা তোমাকে ওয়ার্ল্ড ভিশনে নিয়ে যাব। আমাদের সাথে তুমিও কাজ করবে।
নুসরাত: ( আফিয়াকে জড়িয়ে ধরে) তোমরা আমাকে বাঁচাও। আমি বাঁচতে চাই। বাঁচার মতো বাঁচতে চাই। অঅমি আমার অধিকার চাই।
আকাশ: সব হবে। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ অবহেলিত শিশুদের নিয়ে কাজ করে। শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে।
আফিয়া: সে সব পরে হবে। আগে চলো ওর বাবার কাছে যাই। তার কাছে সব ঘটনা খুলে বলে তাকে নিয়ে থানায় যেতে হবে। থানার কাজ শেষ হলে তাকে নিয়ে আমাদের অফিসে যাব।
আকাশ: হ্যা চল, (দর্শকের উদ্দেশ্যে) আপনারা শুনুন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ শিশুদের পরিপূর্ণ জীবন গঠনের জন্য কাজ করে।
আফিয়া: আসুন, শিশু ফোরামে যুক্ত হোন। শিশু অধিকার নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসুন।
সবাই: ‘আর সইব না অত্যাচার, ফিরিয়ে আনবো অধিকার।’
(সবাই ফ্রিজ)
পরিবেশনা- শিশু ফোরাম, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ,কালকিনি এডিপি।
চরিত্র: অভি,রনি,নুসরাত,জাকির,রাজিয়া,পুলিশ,আকাশ ও আফিয়া
প্রথম দৃশ্য:
রাস্তায় অভি ও রনি দাঁড়িয়ে আছে। কারো জন্য অপো। এদিক ওদিক তাকায়। এমন সময় নুসরাতের আগমন।
অভি: দোস্ত, ওই যে তোর পেয়ারের নুসরাত আইতাছে।
রনি: কই, কই?
অভি: আরে ওইযে, দ্যাক্ চাইয়া।
রনি: ইয়েস, তাইতো। কিন্তু মাইয়ারতো অনেক দেমাগ। মা মারা মাইয়া, কেবল কাস নাইনে পড়ে। তাতেই ভাব কত দ্যাকছোস?
অভি: হ্যা, লাইনে আনতে সময় লাগবো। ছোট মানুষতো। তাছাড়া তোর তো আবার রেকর্ড ভালো না। (কাছাকাছি আসলে গতিরোধ করে)
অভি: দাড়াও নুসরাত, রনি তোমারে যা কইছে তার উত্তর দিয়া যাও।
নুসরাত: আমি তার সাথে কথা বলতে রাজি নই। আমিতো আগেই বলেছি আমাকে ডিস্টার্ব করবেন না। তাহলে বাবার কাছে বলতে বাধ্য হব।
রনি: ডিস্টার্ব, কিসের ডিস্টার্ব। আমি তো তোমাকে ভালোবাসি। এতে বাবার কাছে বলার কি আছে?
নুসরাত: দ্যাখ তোমরা ডিস্টার্ব কর বলে এই অল্প বয়সে বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছে। আমার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মেয়ে বলে কি এ সমাজে আমাদের কোন অধিকার নাই।
রনি: আমি তোমাকে বিয়ে করবো।
নুসরাত: অসম্ভব। তোমার মতো একটা বখাটেকে বিয়ে করবো আমি। মরে গেলেও না। তোমার জন্য তায়েবা আত্মহত্যা করেছে। তুমি জেল খেটেছো। জেল থেকে বের হয়ে আমার পিছু নিয়েছ। আর এখনোতো আমার বিয়ের বয়সই হয়নি।
রনি: তোমাকে পেলে আমি ভালো হয়ে যাব।
নুসরাত: যে ভালো হবার সে এমনিতেই হয়। আমার পথ ছাড়ো। বাবা আামার জন্য বসে অছে।
রনি: তুমি আমার সাথে চল। আমি আজ তোমাকে নিয়ে যাব। (হাত ধরে)
নুসরাত: অসম্ভব। ( থাপ্পড় দেয়) (নুসরাতের প্রস্থান)
রনি: (গালে হাত দিয়ে) আমি তোকে দেখে নেব শালি। তোর জীবন আমি তছনছ করে দেব। তোর সংসারে আগুন লাগিয়ে দেব। হু.. কত বড় সাহস, রনির গায়ে হাত তোলে।
অভি: আমি জানতাম, সোজা আঙুলে ঘি উঠবে না, আঙুল একটু বাকা করতে হবে। চল, একদিন না একদিন এর খেসারাত ওকে দিতে হবে। রাজিয়ার সাথে কথা বলে প্ল্যান করতে হবে। আর সুযোগের অপোয় থাকতে হবে। (প্রস্থান)
দ্বিতীয় দৃশ্য:
নুসরাতের চুলের মুঠি ধরে নিয়ে আসে জাকির। ছুঁড়ে ফেলে দেয় মেঝেতে। নুসরাত উবু হয়ে কাঁদতে থাকে।
জাকির: ইকটু খানি মাইয়া তার আবার বড় বড় কথা। আমার টাকা চাই টাকা। টাকা কই? আনতে পারোস নাই। পারবি কেমনে? বাপের থাকলে তো। বিয়ার সময় তো বড় বড় কতা কইছিলো তোর বাপ।
নুসরাত: আর কত দিব। দিতে দিতে তো বাপজান জমি-জিরাত সব বেইচ্যা দিছে। আর পাইবো কই।
জাকির: টাকা কই পাইবো, তা আমি কি জানি। টাকা দিতে না পারলে সোজা বাপের বাড়ি চইলা যা। ( জাকিরের প্রস্থান)
নুসরাত: হ যামু, এই নরকের মধ্যে আর এক মুহূর্তও থাকমু না। ( নুসরাতের প্রস্থান।)
(রাস্তায় পূর্ব পরিচিত রাজিয়ার সাথে দেখা।)
রাজিয়া: কিরে নুসরাত তোর খবর কি?
নুসরাত: আপা আমার সব শ্যাষ অইয়া গেছে।
রাজিয়া: ক্যান কি অইছে?
নুসরাত: দ্যাহো আপা, বখাটে রনির ভয়ে বাজানে অল্প বয়সে বিয়া দিলো। লেখাপড়া বন্ধ অইলো। এহন আবার যৌতুকের কারণে আমার স্বামী বাড়ি থিকা বাইর কইরা দিলো। আামি এহন কি করুম আপা। আমারতো উভয় সঙ্কট।
রাজিয়া: ও তাই। যাক, তুমি কোন চিন্তা কইরো না। আচ্ছা চাকরি করবা তুমি?
নুসরাত: চাকরি? কেডা দিবো আমারে চাকরি।
রাজিয়া: সেই ব্যবস্থা আমি করুম। শোন, শহরে আমার পরিচিত একজন আছে। একটা এনজিওর জন্য কিছু মেয়ে চাইছিলো। দাড়াও ফোন দিয়া দেখি। (ফোন দেয়)
হ্যালো, দাদা আমি রাজিয়া। হ হ । একটা মেয়ে আছে। হ হ । পারবো। না না । কোন চিন্তা নাই। হ হ । আমি কাইল নিয়া আসবো। হ হ । রাখি। ( ফোন রেখে)
হ কাজ হয়ে গেছে। তোমাকে নিয়ে কালকে যেতে বলেছে।
নুসরাত: এহন তাইলে আমি কই যামু। এইভাবে বাজানের কাছে যাইতে পারমু না।
রাজিয়া: আচ্ছা তাইলে চল আমার বাসায়।
নুসরাত: হ, তাইলে তোমার বাসাতেই চলো।
রাজিয়া: হ, খালি এক রাইতের ব্যাপার। সকালে তো তোওে নিয়া শহরেই চইলা যামু। তারপর নতুন জায়গা, নতুন চাকরি, নতুন দুনিয়া। (প্রস্থান)
তৃতীয় দৃশ্য:
নুসরাত ও রাজিয়া শহরে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হয়। এমন সময় পুলিশসহ আকাশ ও আফিয়ার আগমন। পুলিশ দেখে রাজিয়া পালাবার পথ খোঁজে। পুলিশ রাজিয়ার পথ আগলে দাঁড়ায়Ñ
পুলিশ: দাঁড়ান, আপনি রাজিয়া?
রাজিয়া: (এদিক ওদিক তাকিয়ে) ক্যান বলুন তো।
নুসরাত: হ্যা সার, ওনার নাম রাজিয়া। আমারে চাকরি দিব। আমারে নিয়া শহরে যাইব।
পুলিশ: (নুসরাতের উদ্দেশ্যে) ও আপনাকে মিথ্যা বলেছে। (রাজিয়ার উদ্দেশ্যে) রাজিয়া নারী ও শিশু পাচারের অভিযোগে আপনাকে গ্রেফতার করা হলো।
রাজিয়া: অফিসার আপনি ভুল করছেন।
পুলিশ: না সব প্রমাণ নিয়েই আমরা এসেছি। এর আগে আপনি পাঁচ জন নারী ও শিশুকে পাচার করেছেন। (আকাশকে উদ্দেশ্য করে) আকাশ তোমরা নুসরাতকে নিয়ে বাড়ি গিয়ে ওর বাবাকে নিয়ে থানায় এসো। রাজিয়া আপনি থানায় চলুন। (প্রস্থান)
আকাশ: নুসরাত তুমি অনেক বড় বিপদ থেকে বেঁচে গেছ। রাজিয়া ভালো মেয়ে নয়। ও কাজ দেওয়ার কথা বলে মেয়েদেও নিয়ে বিক্রি কওে দেয়।
আফিয়া: হ্যা নুসরাত, আকাশ ঠিকই বলেছে। তোমার বিপদের কথা আমরা শুনেছি । তুমি চিন্তা করো না। আমারা তোমাকে ওয়ার্ল্ড ভিশনে নিয়ে যাব। আমাদের সাথে তুমিও কাজ করবে।
নুসরাত: ( আফিয়াকে জড়িয়ে ধরে) তোমরা আমাকে বাঁচাও। আমি বাঁচতে চাই। বাঁচার মতো বাঁচতে চাই। অঅমি আমার অধিকার চাই।
আকাশ: সব হবে। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ অবহেলিত শিশুদের নিয়ে কাজ করে। শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে।
আফিয়া: সে সব পরে হবে। আগে চলো ওর বাবার কাছে যাই। তার কাছে সব ঘটনা খুলে বলে তাকে নিয়ে থানায় যেতে হবে। থানার কাজ শেষ হলে তাকে নিয়ে আমাদের অফিসে যাব।
আকাশ: হ্যা চল, (দর্শকের উদ্দেশ্যে) আপনারা শুনুন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ শিশুদের পরিপূর্ণ জীবন গঠনের জন্য কাজ করে।
আফিয়া: আসুন, শিশু ফোরামে যুক্ত হোন। শিশু অধিকার নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসুন।
সবাই: ‘আর সইব না অত্যাচার, ফিরিয়ে আনবো অধিকার।’
(সবাই ফ্রিজ)