শুক্রবার, ১১ মে, ২০১২

কালকিনি প্রবাহ

-আকন মোশাররফ হোসেন
( পূর্ব প্রকাশের পর)
জালালপুর বা ইদিলপুর পরগোনার মুল মৌজার নাম লক্ষ্মীপুর। ‘দামুসা মেলা’র প্রায় এক বর্গমাইল আয়তনের জায়গা ছিল। বর্তমানে জনবসতিপূর্ণ ও চাষাবাদের ফলে ‘দামুসা মেলা’র জায়গা ক্ষীণ হয়ে আছে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো ঐ এলাকার আর.এস এবং এস.এ কোন জরিপেই জরিপ হয় নাই।
জমিদার ভগোলা সুন্দরীর নামে এখনও তপসিল ভুক্ত আছে। বর্তমান বি.আর.এস জরিপে ‘দামুসা মেলা’র জমিটি পতিত আছে। আর বাকি জমি দখলদার এলাকাবাসীর নামে জরিপ করা হয়েছে।
কালকিনি থানা একটি পরিবর্তিত নাম। মাদারীপুর মহকুমার উজানে পদ্মা নদী আর দক্ষিণে মেঘনা নদীর মধ্যস্থল ভাগের সংযোগ রক্ষাকারী আড়িয়াল খাঁ নদী। কালকিনি থানার ভৌগোলিক অবস্থানে এ অঞ্চলের ভূ-গঠনে প্রবাহিত নদীগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কালকিনি থানার ভূ-ভাগের মধ্য দিয়ে আড়িয়াল খাঁ নদী, পালরদী নদী, গজারিয়া নদী, কাচিকাঁটা-তুলাতলা নদী, øানঘাটা নদী ( ছোট গাঙ) এবং টেংরা নদীর সিকস্তি ও চরাঞ্চল এলাকায় বেলে মাটির আধিক্য অত্যন্ত বেশি।
তবে এ উপজেলার আবাসযোগ্য জমির জনবসতি খুব প্রাচীন নয়। হাজার বছরের ভূ-গঠন প্রক্রিয়ায় চলছে প্রকৃতির বিচিত্র লীলায় লীলায়িত ভাঙ্গা-গড়ার বিচিত্র অভিজ্ঞতায় বিকশিত এক বিস্ময়কর ঐতিহ্যের স্মারক। ভূ-প্রকৃতি নিয়ত: ভাঙ্গা-গড়ায় এ এলাকার পূর্ব-দক্ষিণাঞ্চলে জনজীবনে সুগভীর প্রভাব বিস্তার করে আছে। এখানকার মানুষ সিংহশার্দুল, সংগ্রামী। কখনও শান্ত- সৌম্য- সংযমী। কঠোরতা-কোমলতার এক অপূর্ব সংমিশ্রণে পল্লবিত এখানকার গণমানুষ কালকিনি থানা বা উপজেলার পশ্চিম-উত্তর অঞ্চলের স্থলভাগ ও জনবসতি অনেকটা একেবারেই স্থিতিশীল। এবং প্রাচীনত্বের দাবিদার।
তবে পূর্বাঞ্চলের লক্ষ্মীপুর, বাঁশগাড়ী, চর দৌলত খান, চর সাহেবরাম পুর, রমজান পুর, শিকার মঙ্গল ও এনায়েত নগরসহ পালরদী নদীর পশ্চিম পাড় এলাকা এক সময়ে গভীর জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। বাঘ, ভালুক, চিতাবাঘ, মহিষ, বানর ও শুকরের আস্তানা ছিল এই কালকিনির অঞ্চলে। ১৭৯২ সালে বাঘ শিকারের জন্য সরকারিভাবে পুরস্কৃত করা হতো। বিষয়টি এখনো কথিত আছে। ১৮৭৫ সাল পর্যন্ত শীত মৌসুমে ঘোসের হাট, শেওলাপট্টি এবং পূর্বাঞ্চলের গজারিয়া ও টেংরা নদীর উভয় অঞ্চলের বনভূমিতে মহিষের সমাগম ছিল। সে সময়ে শখ করে মানুষ ঘোড়া লালন-পালন করত। নিজের বাহন হিসাবে ব্যবহার করতো। একটু সৌখিন মেজাজের মানুষেরা ঘোড়ায় চড়ে যাতায়াত করতো। ১৯২৬ সালে øানঘাটা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর মুলাদীর ছফিপুরের মাওলানা আঃ মাজেদ নিয়মিত ঘোড়ায় চড়ে মাদ্রাসায় আসতেন। এছাড়া ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পুর্বে ও  পরেও ১৯৭৩/৭৪ সাল পর্যন্ত পাঙ্গাশিয়া ও শেওলাপট্টির জঙ্গলে শুকর ও বানর- হনুমান দেখা যেত। বর্তমানে এ প্রজাতিগুলো এখন বিলুপ্ত। (চলবে)

প্রবন্ধ: উন্নত জাতি গঠনে ভিক্ষাবৃত্তি একটি সামাজিক ব্যাধি

জাহিদ হাসান
 বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। অধিকাংশ লোক দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে। জনসংখ্যা অনুযায়ী দিন দিন বেকারত্বের সংখ্যা বেড়ে চলছে জ্যামিতিক হারে যা জাতির উন্নয়নের পথে বড় ধরনের বাধা হিসেবে কাজ করে। তাই মানুষ জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্য নানা ধরনের পথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে অনেক নীতি গর্হিত কর্মকান্ড, ধনী শ্রেণীর নিপীড়ন যেমন রয়েছে তেমন রয়েছে দরিদ্র মানুষের নিত্য দিনের আহাজারি। হতদরিদ্র নিঃস্ব মানুষগুলো বাধ্য হয়ে ভিক্ষাবৃত্তিকে বেছে নেয়। অন্যদিকে সুস্থ সবল মানুষ ছদ্মবেশে ভিক্ষা করে বড় অংকের টাকা সঞ্চয় করে রাতারাতির বাড়ি গাড়ীর মালিক হয়ে যাচ্ছেন।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য ঢাকার শহরে ভিক্ষা করে বাড়ি করেছেন এমন ঘটনা বাস্তবে রয়েছে। প্রথমে শখের বশে বা সুকৌশলে জীবিকার জন্য ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করলেও পরে ভালো আয় হওয়াতে পেশা হিসেবে বেছে নেয়। বাংলাদেশে মোট জনসখ্যা ১৬ কোটি তাই যারা ভিক্ষা করেন তারা হিসেব করে ১ লক্ষ লোক ১ টাকা করে দিলে কত দিন লাগে টাকার মালিক হতে। অন্ধ, খোড়া, বিকলাঙ্গ, প্রতিবন্ধী অল্প বয়সী বা বয়স্ক মানুষদের অপহরণ করে বা অল্প অর্থে ক্রয় করে দালালরা বিভিন্ন যায়গায় বসিয়ে দেয়। দালালদের কথা মতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে, মসজিদের সামনে, লোকালয়, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি স্থানে জীর্ণ, শীর্ণ সাজসজ্জা এবং ভিক্ষা চাওয়ার বাচন ভঙ্গি শিখিয়ে দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে দালাল বা ভিক্ষাবৃত্তির মস্তান চক্র খুবই অমানবিক আচরণ করে থাকে।
বাংলাদেশে এমনও ভিক্ষুক নেতা বা সর্দার আছেন তার অধীনে ১০/২০ জন ভিক্ষুক একটি নির্দিষ্ট এলাকায় ভিক্ষা করেন। সারা দিন ভিক্ষা করে যা পান তার সিংহ ভাগ নিয়ে যায় নেতারা আর যথা সামান্য পায় ভিক্ষুকরা। এতে করেন খুব সহজে মোটা অংকের টাকা উর্পাজন করছে বিনা পরিশ্রমে। আমাদের দেশের রন্দ্রে রন্দ্রে দূর্নীতি গ্রাস করার ফলে এবং সবর্ত্র স্বজন প্রীতির কারনে ধনীরা আরো ধনী আর গরীব মানুষেরা দিন দিন দারিদ্র থেকে দারিদ্র সীমার নিচে চলে যাচ্ছে। যার ফলে অসহায় মানুষ নিরুপায় হয়ে ভিক্ষাবৃত্তির মতো আপত্তিকর পেশা বেছে নিচ্ছে। অভাবের কারনে, মসজিদ বা মাদ্রাসা নির্মাণের কথা বলে, শখের বশে বা ছদ্মবেশে ভিক্ষা করা বা দল নেতা হওয়া সবই ভিক্ষাবৃত্তির মধ্যে পড়ে। মানুষের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ধর্মকে ব্যবহার করে বিভিন্ন সময়ে মসজিদের পাশে (জুমার দিনে) , ঈদের জামাতের পাশে, মাজার সংলগ্ন এলাকায়, হাসপাতাল, ক্লিনিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশে পাশে ভিক্ষা করার প্রবনতা বেশী দেখা যায়। বাংলাদেশে যতগুলো সামাজিক সমস্যা বিদ্যমান তার মধ্যে ভিক্ষাবৃত্তি অন্যতম। সরকার বা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে যারা রয়েছেন তারা যদি এখনই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন না করেন তাহলে সময়ের পালাক্রমে এ সমস্যা সমাজে প্রকট আকার ধারন করবে যা সভ্য জাতি হিসেবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরী করবে। একটি উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে হলে সবাইকে কর্মঠ হতে হবে। আমরা অহরহ ধর্মের দোহাই দিয়ে থাকি কিন্তু আমাদের ইসলাম ধর্ম কত কঠোরভাবে ভিক্ষাবৃত্তি নিষেধ করেছেন তা মেনে চলি না। ১৬০১ সালে ইংল্যান্ডে ভিক্ষাবৃত্তি চরম আকার ধারণ করেছিল তখন রানী এলিজাবেধ শক্ত হাতে সেদিন ভিক্ষাবৃত্তি নির্মুল করার কারনে আজকে যুক্তরাজ্য উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাড়াতে পেরেছে। ভিক্ষাবৃত্তি যে কোন জাতির কাছে একটি লজ্জাজনক বিষয়। আমাদের দেশে ভিক্ষাবৃত্তি একটি সামাজিক ব্যাধি হিসেবে রুপ লাভ করেছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব এ অবস্থার উন্নয়ন করা দরকার। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে এই বিশ্বায়নের যুগে কোনো ভাবেই ভিক্ষাবৃত্তি কাম্য নয়। ভিক্ষাবৃত্তির ফলে জাতি দিন দিন অলস হয়ে যাচ্ছে যার ফলে আমাদের জনশক্তি কাজে লাগছে না। জাতি হিসেবে আমরা বিশ্বের বুকে অনেক পিছনে পড়ে আছি। সুতরাং ভিক্ষাবৃত্তি জাতির জন্য অভিশাপ বয়ে আনছে। একটি উন্নত জাতি গঠনের ক্ষেত্রে ভিক্ষাবৃত্তি মারাত্মক সামাজিক ব্যাধি। তাই এখনই সমাজ থেকেই ভিক্ষাবৃত্তির মূলৎপাটন করতে হবে।
লেখক- নির্বাহী সম্পাদক,সাপ্তাহিক কালকিনি।

কবি

রোহিনী কান্ত রায়

কল্পপ্রিয় একটি প্রাণী কবি,
ঘরে বসে বসে কি অবলিলায় দুনিয়া চষে বেড়ায়
তুমুল সাওয়ারী হয়ে আলোকিত সব শব্দ ডানায়
সীমার প্রাচীর দেখেনি কোনদিন তার অবারিত পদরেখায়।

কল্পাশ্রয়ী জীব কবি
যতটুকু না দেখেছে নিজে
তারি সহস্রগুণ বেশি দেখিয়েছে পরম বিশ্বস্ততায়
চেতনার অনুভবে তার মুগ্ধ ভক্তকে।
দেখ, দেখ কি সহজে যুক্তিতর্কের জাল কেটে, কার্যকারণ
সম্পর্ককে ভীষণ ডিঙিয়ে এখনো ( বিজ্ঞানমনস্ক যুগ) বিশ্বসের
বীজ বুনে চলে মানুষের পাথর মনে- ইনিয়ে বিনিয়ে বলা কথায়
নিজে যা কোনদিন দেখেনি তাই  লেখে
অথবা লিখেও নিজেই বোঝেনি কোনদিন তার মানে-
তবুও কৌতুহল বাড়ে মানুষের তার প্রতি
তবুও কংক্রিট ভেঙে বিশ্বাসের ঢল নামে অতি, তার প্রতি
কি অদ্ভুত ঈশ্বর অনুমোদিত এক জীব
‘‘ কবি যা রচে তাই সত্য
ঘটে যা তার সব সত্য নয়।”

কবির মুখে স্বীয় স্তুতি শোনার জন্য স্বর্গের দেবতা সব
উন্মুখ হয়ে আছে, দেবতা জানে তার মানে
অমৃত পান করে দেবতা যে টুকু অমরত্ব পেয়েছে
তারি চেয়ে বেশি অমরত্ব লভেছে মর্তের
কোন কোন মানুষ কবির স্তুতি গানে।

জলঢাকা, নীলফামারী।

কালকিনির নাট্যাঙ্গনে আলোচিত নাম প্রথমা রঙ্গমঞ্চ

কাজী নিয়ামুল ইসলাম:
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় ২০০৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর গড়ে ওঠে ‘প্রথমা রঙ্গমঞ্চ’। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এক ডজনেরও বেশি নাটক মঞ্চস্থ করে দলটি। সাংস্কৃতিক কর্মী সালাহ উদ্দিন মাহমুদের প্রচেষ্টায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও বেশ সুনাম অর্জন করে প্রথমা রঙ্গমঞ্চ।
প্রথমে সালাহ উদ্দিন মাহমুদের লেখা হাস্যরসাত্মক নাটক দিয়ে শুরু। মহড়া চলে পৌর মার্কেটের ছাদে। নারী নাট্যকর্মী না থাকায় কোন নারী চরিত্র ছিলনা। ২০০৮ সালে কালকিনি শিল্পকলা একাডেমীর বৈশাখী মেলা মঞ্চে সালাহ উদ্দিন মাহমুদের রচনা ও পরিচালনায় ‘মুকুট বাবার মাজার’ নাটক প্রথম মঞ্চস্থ হয়। এরপর সালাহ উদ্দিন মাহমুদের রচনায় কাজী নিয়ামূল ইসলাম, এইচ এম মিলন, জাহিদ হাসান, বি এ কে মামুন, মেহেদী হাসান, মাইনুল ইসলাম ও নাফিজ সিদ্দিকী তপুর পরিচালনায় আ.জ.ম কামালের নির্দেশনায় ‘ঘৃণা নয় ভালোবাসা চাই’, ‘আলোর পথে’,‘ ডিসকো ফকির’,‘ কালচারাল ফ্যামিলি’,‘বোকার হদ্দ’,‘ঘাতক’,‘যুদ্ধাপরাধী’,‘কাপুরুষ’ ও ‘মুক্তি’সহ বেশ কয়েকটি নাটক মঞ্চস্থ হয়।
এছাড়া লিয়াকত আলী লাকীর ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার’,সেলিম আল দীনের ‘বাসন’,মমতাজ জামানের ‘মুক্তির জননী’,এস.এম সোলায়মানের‘ক্ষ্যাপা পাগলার প্যাচাল’,মান্নান হীরার‘ফেরারী নিশান’ ও মলিয়েঁরের ‘পেজগী’ মঞ্চস্থ হয়। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে পটুয়াখালীর ভান্ডারিয়ায় ওয়ার্ল্ড ভিশনের আমন্ত্রণে‘ঘাতক’মঞ্চস্থ হয়। একই বছর মার্চ মাসে যশোরে ওয়ার্ল্ড ভিশনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ‘মুক্তি’ নাটক মঞ্চস্থ করে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। কিন্তু অভাব দেখা দেয় স্থান ও অর্থের। এগিয়ে আসে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-কালকিনি এডিপি, প্রেসক্লাব,শিল্পকলা একাডেমি,সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ, মো: খালেকুজ্জামান,মো: মনিরুজ্জামান, মসিউর রহমান সবুজ, শহীদ খান ও খায়রুল আলমসহ অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। পূর্ণোদ্যমে এগিয়ে যেতে থাকে প্রথমা রঙ্গমঞ্চ। উপজেলার যেকোন অনুষ্ঠানে নাটক পরিবেশনের জন্য ডাক পরে দলটির।
প্রথমা রঙ্গমঞ্চের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে এর পরিচালক সালাহ উদ্দিন মাহমুদ জানান,‘শূন্য থেকে শুরু করেছিলাম। আজ একটা অবস্থানে পৌঁছতে পেরেছি। কালকিনির নাট্যাঙ্গণ তার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। কিন্তু এখানে কোন অডিটোরিয়াম নেই। আশা করি সে স্বপ্ন একদিন পূরণ হবে। আমরা থেমে থাকবো না।’