-আকন মোশাররফ হোসেন
( পূর্ব প্রকাশের পর)
জালালপুর বা ইদিলপুর পরগোনার মুল মৌজার নাম লক্ষ্মীপুর। ‘দামুসা মেলা’র প্রায় এক বর্গমাইল আয়তনের জায়গা ছিল। বর্তমানে জনবসতিপূর্ণ ও চাষাবাদের ফলে ‘দামুসা মেলা’র জায়গা ক্ষীণ হয়ে আছে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো ঐ এলাকার আর.এস এবং এস.এ কোন জরিপেই জরিপ হয় নাই।
জমিদার ভগোলা সুন্দরীর নামে এখনও তপসিল ভুক্ত আছে। বর্তমান বি.আর.এস জরিপে ‘দামুসা মেলা’র জমিটি পতিত আছে। আর বাকি জমি দখলদার এলাকাবাসীর নামে জরিপ করা হয়েছে।
কালকিনি থানা একটি পরিবর্তিত নাম। মাদারীপুর মহকুমার উজানে পদ্মা নদী আর দক্ষিণে মেঘনা নদীর মধ্যস্থল ভাগের সংযোগ রক্ষাকারী আড়িয়াল খাঁ নদী। কালকিনি থানার ভৌগোলিক অবস্থানে এ অঞ্চলের ভূ-গঠনে প্রবাহিত নদীগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কালকিনি থানার ভূ-ভাগের মধ্য দিয়ে আড়িয়াল খাঁ নদী, পালরদী নদী, গজারিয়া নদী, কাচিকাঁটা-তুলাতলা নদী, øানঘাটা নদী ( ছোট গাঙ) এবং টেংরা নদীর সিকস্তি ও চরাঞ্চল এলাকায় বেলে মাটির আধিক্য অত্যন্ত বেশি।
তবে এ উপজেলার আবাসযোগ্য জমির জনবসতি খুব প্রাচীন নয়। হাজার বছরের ভূ-গঠন প্রক্রিয়ায় চলছে প্রকৃতির বিচিত্র লীলায় লীলায়িত ভাঙ্গা-গড়ার বিচিত্র অভিজ্ঞতায় বিকশিত এক বিস্ময়কর ঐতিহ্যের স্মারক। ভূ-প্রকৃতি নিয়ত: ভাঙ্গা-গড়ায় এ এলাকার পূর্ব-দক্ষিণাঞ্চলে জনজীবনে সুগভীর প্রভাব বিস্তার করে আছে। এখানকার মানুষ সিংহশার্দুল, সংগ্রামী। কখনও শান্ত- সৌম্য- সংযমী। কঠোরতা-কোমলতার এক অপূর্ব সংমিশ্রণে পল্লবিত এখানকার গণমানুষ কালকিনি থানা বা উপজেলার পশ্চিম-উত্তর অঞ্চলের স্থলভাগ ও জনবসতি অনেকটা একেবারেই স্থিতিশীল। এবং প্রাচীনত্বের দাবিদার।
তবে পূর্বাঞ্চলের লক্ষ্মীপুর, বাঁশগাড়ী, চর দৌলত খান, চর সাহেবরাম পুর, রমজান পুর, শিকার মঙ্গল ও এনায়েত নগরসহ পালরদী নদীর পশ্চিম পাড় এলাকা এক সময়ে গভীর জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। বাঘ, ভালুক, চিতাবাঘ, মহিষ, বানর ও শুকরের আস্তানা ছিল এই কালকিনির অঞ্চলে। ১৭৯২ সালে বাঘ শিকারের জন্য সরকারিভাবে পুরস্কৃত করা হতো। বিষয়টি এখনো কথিত আছে। ১৮৭৫ সাল পর্যন্ত শীত মৌসুমে ঘোসের হাট, শেওলাপট্টি এবং পূর্বাঞ্চলের গজারিয়া ও টেংরা নদীর উভয় অঞ্চলের বনভূমিতে মহিষের সমাগম ছিল। সে সময়ে শখ করে মানুষ ঘোড়া লালন-পালন করত। নিজের বাহন হিসাবে ব্যবহার করতো। একটু সৌখিন মেজাজের মানুষেরা ঘোড়ায় চড়ে যাতায়াত করতো। ১৯২৬ সালে øানঘাটা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর মুলাদীর ছফিপুরের মাওলানা আঃ মাজেদ নিয়মিত ঘোড়ায় চড়ে মাদ্রাসায় আসতেন। এছাড়া ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পুর্বে ও পরেও ১৯৭৩/৭৪ সাল পর্যন্ত পাঙ্গাশিয়া ও শেওলাপট্টির জঙ্গলে শুকর ও বানর- হনুমান দেখা যেত। বর্তমানে এ প্রজাতিগুলো এখন বিলুপ্ত। (চলবে)
( পূর্ব প্রকাশের পর)
জমিদার ভগোলা সুন্দরীর নামে এখনও তপসিল ভুক্ত আছে। বর্তমান বি.আর.এস জরিপে ‘দামুসা মেলা’র জমিটি পতিত আছে। আর বাকি জমি দখলদার এলাকাবাসীর নামে জরিপ করা হয়েছে।
কালকিনি থানা একটি পরিবর্তিত নাম। মাদারীপুর মহকুমার উজানে পদ্মা নদী আর দক্ষিণে মেঘনা নদীর মধ্যস্থল ভাগের সংযোগ রক্ষাকারী আড়িয়াল খাঁ নদী। কালকিনি থানার ভৌগোলিক অবস্থানে এ অঞ্চলের ভূ-গঠনে প্রবাহিত নদীগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কালকিনি থানার ভূ-ভাগের মধ্য দিয়ে আড়িয়াল খাঁ নদী, পালরদী নদী, গজারিয়া নদী, কাচিকাঁটা-তুলাতলা নদী, øানঘাটা নদী ( ছোট গাঙ) এবং টেংরা নদীর সিকস্তি ও চরাঞ্চল এলাকায় বেলে মাটির আধিক্য অত্যন্ত বেশি।
তবে এ উপজেলার আবাসযোগ্য জমির জনবসতি খুব প্রাচীন নয়। হাজার বছরের ভূ-গঠন প্রক্রিয়ায় চলছে প্রকৃতির বিচিত্র লীলায় লীলায়িত ভাঙ্গা-গড়ার বিচিত্র অভিজ্ঞতায় বিকশিত এক বিস্ময়কর ঐতিহ্যের স্মারক। ভূ-প্রকৃতি নিয়ত: ভাঙ্গা-গড়ায় এ এলাকার পূর্ব-দক্ষিণাঞ্চলে জনজীবনে সুগভীর প্রভাব বিস্তার করে আছে। এখানকার মানুষ সিংহশার্দুল, সংগ্রামী। কখনও শান্ত- সৌম্য- সংযমী। কঠোরতা-কোমলতার এক অপূর্ব সংমিশ্রণে পল্লবিত এখানকার গণমানুষ কালকিনি থানা বা উপজেলার পশ্চিম-উত্তর অঞ্চলের স্থলভাগ ও জনবসতি অনেকটা একেবারেই স্থিতিশীল। এবং প্রাচীনত্বের দাবিদার।
তবে পূর্বাঞ্চলের লক্ষ্মীপুর, বাঁশগাড়ী, চর দৌলত খান, চর সাহেবরাম পুর, রমজান পুর, শিকার মঙ্গল ও এনায়েত নগরসহ পালরদী নদীর পশ্চিম পাড় এলাকা এক সময়ে গভীর জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। বাঘ, ভালুক, চিতাবাঘ, মহিষ, বানর ও শুকরের আস্তানা ছিল এই কালকিনির অঞ্চলে। ১৭৯২ সালে বাঘ শিকারের জন্য সরকারিভাবে পুরস্কৃত করা হতো। বিষয়টি এখনো কথিত আছে। ১৮৭৫ সাল পর্যন্ত শীত মৌসুমে ঘোসের হাট, শেওলাপট্টি এবং পূর্বাঞ্চলের গজারিয়া ও টেংরা নদীর উভয় অঞ্চলের বনভূমিতে মহিষের সমাগম ছিল। সে সময়ে শখ করে মানুষ ঘোড়া লালন-পালন করত। নিজের বাহন হিসাবে ব্যবহার করতো। একটু সৌখিন মেজাজের মানুষেরা ঘোড়ায় চড়ে যাতায়াত করতো। ১৯২৬ সালে øানঘাটা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর মুলাদীর ছফিপুরের মাওলানা আঃ মাজেদ নিয়মিত ঘোড়ায় চড়ে মাদ্রাসায় আসতেন। এছাড়া ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পুর্বে ও পরেও ১৯৭৩/৭৪ সাল পর্যন্ত পাঙ্গাশিয়া ও শেওলাপট্টির জঙ্গলে শুকর ও বানর- হনুমান দেখা যেত। বর্তমানে এ প্রজাতিগুলো এখন বিলুপ্ত। (চলবে)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন