সালাহ উদ্দিন মাহমুদ:
মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলো। গলাটা শুকিয়ে যাচ্ছিল। অন্ধকার হাতরে খাটের কোণায় পানির বোতলের অস্তিত্ব টের পেলাম। ঢক-ঢক করে গলা ভিজিয়ে নিলাম। চোখ বন্ধ করলাম আবার।
তবু স্বপ্নটা আমার পিছু ছাড়ছে না। ফোন করলাম রবীন্দ্রনাথকে।
- হ্যালো, রবীন্দ্রনাথ!
- হ্যা বৎস! বলো।
- তুমি গুরু মরিয়া প্রমাণ করিলে তুমি মর নাই। কাদম্বিনী রোজ সকালে আমার ঘুম ভেঙে দেয়।
- ও তাই। আর...
- গোরা প্রতিনিয়ত ভর্ৎসনা করে। আমাদের নোংরা রাজনীতির জন্য তার সেকি খিস্তিখেউর।
- তুমি কি বলো?
- আমি আর কী বলবো। আহাম্মকের মতো সব শুনি। মুখ বুজে থাকি। কোন উত্তর নেই।
- তুমি আসলে কী করো?
- বছরখানেক হলো, একটা ডিগ্রী কলেজে বাংলা পড়াই।
- ভালোতো।
- কিসের ভালো? সমস্যাতো ওখানেই।
- কী সমস্যা?
- ‘হৈমন্তির এত কষ্ট কেন?’ ‘অপু কেন বাবার আচরণের প্রতিবাদ করে না?’ নানাবিধ প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের।
- তুমি কী বলো?
- তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থার দোষ দেই। তা শুনে ছাত্রীরা প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। বলে, আমরা তখন থাকলে দেখিয়ে দিতাম।
- তুমি কী বিবাহিত?
- নারে বাবা। তোমাদের মত অল্প বয়সে বিয়ে করার সাধ থাকলেও সাধ্য নেই। এন্ট্রান্স পড়লেই বাবা বিয়ে দেবেন। এমন ভাগ্য আমাদের নেই। সতের বছরের হৈমন্তি বয়সে দাদি-নানিকে হার মানালেও বাংরাদেশ সরকার আঠারো বছরের আগে মেয়েদের বিবাহ নিষিদ্ধ করেছে।
- সে যাই হোক। যখন যে নিয়ম। আমাদের সময় আট বছরে বিয়ের নামে ‘গৌড়ি দান’ করা হতো। বিয়ে না করতে পারো। প্রেমতো নিশ্চয়ই করো। ওটাতে তো আর বয়সের বালাই নেই।
- হা- হা- হা। তা বলতে পারো। ডজন খানেক তো হবে। জলের মতো আসে আর যায়। তবে এ ক্ষেত্রে তোমার গানগুলি বেশ সহায়ক।
- যেমন?
- কাউকে দেখলেই গেয়ে উঠি-‘আমারও পরাণও যাহা চায়’ কিংবা ‘ভালোবাসি- ভালোবাসি...’
- তাতে কাজ হয়?
- হবে না মানে। রবীন্দ্রনাথকে কে না জানে। তার গান কে না শোনে। তবে মাইন্ড করলে বলি, তোমাকে কিছু বলিনি। রবীন্দ্র সংগীত গাইছি।
- হা- হা- হা। ভালো তো। দারুণ বুদ্ধি তোমার।
- তোমার চেয়ে কমই।
- অনেক দিন পরে হাসলাম। তুমি আমাকে হাসালে।
- কেন?
- ফটিকের জন্য মন খারাপ হয়। আমার ফটিকরা কেমন আছে?
- আগের মতোই দুষ্টু। খালি ছুটির জন্য অস্থির হয়ে ওঠে।
- তা না হয় মানলাম। তুমি লেখালেখি কর নাকি?
- চেষ্টা করি। হয় কি না জানি না। তবে প্রেমিকার উদ্দেশ্যে দু-চার লাইন। হাতে হাতে দিতে পারি না। ফলে পত্রিকায় পাঠাই। সম্পাদক মহাশয় সদয় হলে প্রকাশ হয়। পত্রিকার কপিটা নিয়ে ভালোবাসার মানুষটির হাতে দেই। হাতে পেয়ে বলে, ‘বাহ! চমৎকার কবিতা তো।’ কিন্তু মাঝে মাঝে কষ্ট হয়। যার জন্য লিখলাম- সে বোঝল না। আর প্রেমে পড়লো কি না অন্যজন। বল, এটা মহামুশকিল না?
- চালিয়ে যাও। একদিন বুঝিবে বাছাধন। আমার ‘শেষের কবিতা’ পড় নাই?
- আরে মহাশয়! সেতো কয়েকবার পড়েছি। কিন্তু আমার বাবারও সাধ্য নাই বোঝার। না বুঝলেও শেষের কবিতাটা কয়েকবার আবৃত্তি করেছি। শ্রোতারা বড্ড হাততালি দেয়।
- তাই নাকি? তুমি আবৃত্তি করো? আমি না ভালো আবৃত্তি করতে পারতাম না। মিনমিনে কন্ঠ ছিল তো।
- হ্যা, তা ঠিক বলেছো। তোমার কন্ঠে ‘সোনার তরী’ শুনে আমি অনেক হেসেছি। কেমন কাতর-কাতর কন্ঠ। মেয়েলি-মেয়েলি ভাব।
- তুমি আমাকে অপমান করছো?
- দুঃখিত, সে স্পর্ধা আমার নেই। ক্ষমা করবেন জাহাপনা! তবে আপনার ‘হঠাৎ দেখা’, ‘বাঁশি’, ‘দেবতার গ্রাস’, ‘দুই বিঘা জমি’, ‘সোনার তরী’, ‘অপমানিত’, ও ‘রক্ত করবী’র অংশবিশেষ বহুবার আবৃত্তি করেছি। পুরস্কারও পেয়েছি।
- বাহ- বাহ! তোমরাইতো আমাকে বাঁচিয়ে রাখলে। তা নাহলে কবেই পঁচে যেতাম। মিশে যেতাম মাটির সঙ্গে।
- কী বলেন? আপনি আছেন বলেইতো আমরা আছি। আজো বাংলা সাহিত্য আছে। বিশ্ব সাহিত্যের দরবারে বাংলা সাহিত্য স্থান করে নিয়েছে। ‘নোবেল’ পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছি আমরা।
- ও কথা আর বলো না। পেলাম একটা নোবেল। তা নিয়ে কত সমালোচনা। শেষমেষ আবার নোবেলটা চুরিও হয়ে গেল।
- দুঃখিত! অনাকাক্সিক্ষত এ ভুলের জন্য।
- না থাক, ঠিক অছে। তবে আমার একটা অনুরোধ। সাহিত্যটাকে কলুষিত হতে দিও না। বিখ্যাত হওয়ার বাসনা নিয়ে লিখতে বসো না। বরং লিখে বিখ্যাত হও। সহজ-সরল পাঠককে ঠকিও না। তোমারা লিখে যাও। তাতেই আমি বেঁচে থাকবো। বাংলা সাহিত্য বেঁচে থাকবে। মানুষ বেঁচে থাকবে। সর্বোপরি মানুষের জন্য কিছু করো।
‘আজি ঝরোঝরো মুখোড়ও বাদল দিনে’ গানের সুরে হঠাৎ মোবাইলের রিংটোন বেজে উঠলো।
ঘুম ভেঙে গেল। সাথে স্বপ্নটাও। মোবাইল স্ক্রীনে ‘অনিন্দিতা কলিং’ দেখে রাগটা সামলে নিয়ে ফোন রিসিভ করলাম। ---
- হ্যালো, রবীন্দ্রনাথ!
অনিন্দিতা বললো- পাগল নাকি? রবীন্দ্রনাথ এলো কোত্থেকে?
- ও তাইতো, তুমি অনিন্দিতা। আসলে এতক্ষণ রবীন্দ্রনাথের সাথে কথা বলছিলাম তো।
অনিন্দিতা হাসলো।
- তোমার মাথা একেবারে গ্যাছে। আমার মনে হয় কি জানো? বাইশে শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুবার্ষিকী। তুমি হয়তো ভাবছিলে কিছু লিখবে। কিন্তু কি লিখবে খুঁজে পাচ্ছিলে না। তাই ভাবতে- ভাবতে ঘুমিয়ে পড়েছো। আর অমনি ঘুমের ঘোরে রবীন্দ্রনাথকে ফোন করেছো। হা- হা- হা।
ফোন কানে ধরে আছি। অনিন্দিতার হাসির লহরী বেজে যাচ্ছে অবিরাম। আসলে রবীন্দ্রনাথ আমাকে স্বপ্ন দেখায়। রবীন্দ্রনাথ আমাকে বাঁচতে শেখায়।
তুমি কেন চলে গেলে রবীন্দ্রনাথ? আর কিছুদিন থাকতে পারলে না? কিংবা আবার কেন ফিরে আসো না!
সালাহ উদ্দিন মাহমুদ
কালকিনি, মাদারীপুর।
০১৭২৫৪৩০৭৬৩
মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলো। গলাটা শুকিয়ে যাচ্ছিল। অন্ধকার হাতরে খাটের কোণায় পানির বোতলের অস্তিত্ব টের পেলাম। ঢক-ঢক করে গলা ভিজিয়ে নিলাম। চোখ বন্ধ করলাম আবার।
তবু স্বপ্নটা আমার পিছু ছাড়ছে না। ফোন করলাম রবীন্দ্রনাথকে।
- হ্যালো, রবীন্দ্রনাথ!
- হ্যা বৎস! বলো।
- তুমি গুরু মরিয়া প্রমাণ করিলে তুমি মর নাই। কাদম্বিনী রোজ সকালে আমার ঘুম ভেঙে দেয়।
- ও তাই। আর...
- গোরা প্রতিনিয়ত ভর্ৎসনা করে। আমাদের নোংরা রাজনীতির জন্য তার সেকি খিস্তিখেউর।
- তুমি কি বলো?
- আমি আর কী বলবো। আহাম্মকের মতো সব শুনি। মুখ বুজে থাকি। কোন উত্তর নেই।
- তুমি আসলে কী করো?
- বছরখানেক হলো, একটা ডিগ্রী কলেজে বাংলা পড়াই।
- ভালোতো।
- কিসের ভালো? সমস্যাতো ওখানেই।
- কী সমস্যা?
- ‘হৈমন্তির এত কষ্ট কেন?’ ‘অপু কেন বাবার আচরণের প্রতিবাদ করে না?’ নানাবিধ প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের।
- তুমি কী বলো?
- তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থার দোষ দেই। তা শুনে ছাত্রীরা প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। বলে, আমরা তখন থাকলে দেখিয়ে দিতাম।
- তুমি কী বিবাহিত?
- নারে বাবা। তোমাদের মত অল্প বয়সে বিয়ে করার সাধ থাকলেও সাধ্য নেই। এন্ট্রান্স পড়লেই বাবা বিয়ে দেবেন। এমন ভাগ্য আমাদের নেই। সতের বছরের হৈমন্তি বয়সে দাদি-নানিকে হার মানালেও বাংরাদেশ সরকার আঠারো বছরের আগে মেয়েদের বিবাহ নিষিদ্ধ করেছে।
- সে যাই হোক। যখন যে নিয়ম। আমাদের সময় আট বছরে বিয়ের নামে ‘গৌড়ি দান’ করা হতো। বিয়ে না করতে পারো। প্রেমতো নিশ্চয়ই করো। ওটাতে তো আর বয়সের বালাই নেই।
- হা- হা- হা। তা বলতে পারো। ডজন খানেক তো হবে। জলের মতো আসে আর যায়। তবে এ ক্ষেত্রে তোমার গানগুলি বেশ সহায়ক।
- যেমন?
- কাউকে দেখলেই গেয়ে উঠি-‘আমারও পরাণও যাহা চায়’ কিংবা ‘ভালোবাসি- ভালোবাসি...’
- তাতে কাজ হয়?
- হবে না মানে। রবীন্দ্রনাথকে কে না জানে। তার গান কে না শোনে। তবে মাইন্ড করলে বলি, তোমাকে কিছু বলিনি। রবীন্দ্র সংগীত গাইছি।
- হা- হা- হা। ভালো তো। দারুণ বুদ্ধি তোমার।
- তোমার চেয়ে কমই।
- অনেক দিন পরে হাসলাম। তুমি আমাকে হাসালে।
- কেন?
- ফটিকের জন্য মন খারাপ হয়। আমার ফটিকরা কেমন আছে?
- আগের মতোই দুষ্টু। খালি ছুটির জন্য অস্থির হয়ে ওঠে।
- তা না হয় মানলাম। তুমি লেখালেখি কর নাকি?
- চেষ্টা করি। হয় কি না জানি না। তবে প্রেমিকার উদ্দেশ্যে দু-চার লাইন। হাতে হাতে দিতে পারি না। ফলে পত্রিকায় পাঠাই। সম্পাদক মহাশয় সদয় হলে প্রকাশ হয়। পত্রিকার কপিটা নিয়ে ভালোবাসার মানুষটির হাতে দেই। হাতে পেয়ে বলে, ‘বাহ! চমৎকার কবিতা তো।’ কিন্তু মাঝে মাঝে কষ্ট হয়। যার জন্য লিখলাম- সে বোঝল না। আর প্রেমে পড়লো কি না অন্যজন। বল, এটা মহামুশকিল না?
- চালিয়ে যাও। একদিন বুঝিবে বাছাধন। আমার ‘শেষের কবিতা’ পড় নাই?
- আরে মহাশয়! সেতো কয়েকবার পড়েছি। কিন্তু আমার বাবারও সাধ্য নাই বোঝার। না বুঝলেও শেষের কবিতাটা কয়েকবার আবৃত্তি করেছি। শ্রোতারা বড্ড হাততালি দেয়।
- তাই নাকি? তুমি আবৃত্তি করো? আমি না ভালো আবৃত্তি করতে পারতাম না। মিনমিনে কন্ঠ ছিল তো।
- হ্যা, তা ঠিক বলেছো। তোমার কন্ঠে ‘সোনার তরী’ শুনে আমি অনেক হেসেছি। কেমন কাতর-কাতর কন্ঠ। মেয়েলি-মেয়েলি ভাব।
- তুমি আমাকে অপমান করছো?
- দুঃখিত, সে স্পর্ধা আমার নেই। ক্ষমা করবেন জাহাপনা! তবে আপনার ‘হঠাৎ দেখা’, ‘বাঁশি’, ‘দেবতার গ্রাস’, ‘দুই বিঘা জমি’, ‘সোনার তরী’, ‘অপমানিত’, ও ‘রক্ত করবী’র অংশবিশেষ বহুবার আবৃত্তি করেছি। পুরস্কারও পেয়েছি।
- বাহ- বাহ! তোমরাইতো আমাকে বাঁচিয়ে রাখলে। তা নাহলে কবেই পঁচে যেতাম। মিশে যেতাম মাটির সঙ্গে।
- কী বলেন? আপনি আছেন বলেইতো আমরা আছি। আজো বাংলা সাহিত্য আছে। বিশ্ব সাহিত্যের দরবারে বাংলা সাহিত্য স্থান করে নিয়েছে। ‘নোবেল’ পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছি আমরা।
- ও কথা আর বলো না। পেলাম একটা নোবেল। তা নিয়ে কত সমালোচনা। শেষমেষ আবার নোবেলটা চুরিও হয়ে গেল।
- দুঃখিত! অনাকাক্সিক্ষত এ ভুলের জন্য।
- না থাক, ঠিক অছে। তবে আমার একটা অনুরোধ। সাহিত্যটাকে কলুষিত হতে দিও না। বিখ্যাত হওয়ার বাসনা নিয়ে লিখতে বসো না। বরং লিখে বিখ্যাত হও। সহজ-সরল পাঠককে ঠকিও না। তোমারা লিখে যাও। তাতেই আমি বেঁচে থাকবো। বাংলা সাহিত্য বেঁচে থাকবে। মানুষ বেঁচে থাকবে। সর্বোপরি মানুষের জন্য কিছু করো।
‘আজি ঝরোঝরো মুখোড়ও বাদল দিনে’ গানের সুরে হঠাৎ মোবাইলের রিংটোন বেজে উঠলো।
ঘুম ভেঙে গেল। সাথে স্বপ্নটাও। মোবাইল স্ক্রীনে ‘অনিন্দিতা কলিং’ দেখে রাগটা সামলে নিয়ে ফোন রিসিভ করলাম। ---
- হ্যালো, রবীন্দ্রনাথ!
অনিন্দিতা বললো- পাগল নাকি? রবীন্দ্রনাথ এলো কোত্থেকে?
- ও তাইতো, তুমি অনিন্দিতা। আসলে এতক্ষণ রবীন্দ্রনাথের সাথে কথা বলছিলাম তো।
অনিন্দিতা হাসলো।
- তোমার মাথা একেবারে গ্যাছে। আমার মনে হয় কি জানো? বাইশে শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুবার্ষিকী। তুমি হয়তো ভাবছিলে কিছু লিখবে। কিন্তু কি লিখবে খুঁজে পাচ্ছিলে না। তাই ভাবতে- ভাবতে ঘুমিয়ে পড়েছো। আর অমনি ঘুমের ঘোরে রবীন্দ্রনাথকে ফোন করেছো। হা- হা- হা।
ফোন কানে ধরে আছি। অনিন্দিতার হাসির লহরী বেজে যাচ্ছে অবিরাম। আসলে রবীন্দ্রনাথ আমাকে স্বপ্ন দেখায়। রবীন্দ্রনাথ আমাকে বাঁচতে শেখায়।
তুমি কেন চলে গেলে রবীন্দ্রনাথ? আর কিছুদিন থাকতে পারলে না? কিংবা আবার কেন ফিরে আসো না!
সালাহ উদ্দিন মাহমুদ
কালকিনি, মাদারীপুর।
০১৭২৫৪৩০৭৬৩
কবিগুরু তো ফিরে আসার নয় কবি! আমরা এ বিশ্বাসেই বিশ্বাসী। পূনর্জন্মে আমরা মোটেই বিশ্বাসী নই। দূর্দান্ত হয়েছে আপনার লেখাটি। আমি অনেকের লেখা পড়ি। অনেক সময় এমন হয়, লেখাটি শেষ করতে পারলেই বাঁচা যায়। কিন্তু আপনার এ লেখাটি একটানে পড়লাম। মনে হলো, ‘হায়রে এখানেই শেষ? এই পাঠচক্র যদি শেষ না হতো, তাহলে কেমন হতো বলো তো?’
উত্তরমুছুন