সালাহ উদ্দিন মাহমুদ :
২০০৪- ২০০৫ সালের কথা। কালকিনিতে দর্পণ থিয়েটারের নাম সবার মুখে মুখে। মাত্র তিনটি নাটক মঞ্চস্থ করতে পেরেছিল। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনি। মৌলবাদ, নোংড়া রাজনীতি আর প্রশাসনের যাতাকলে নিষ্পেষিত হতে হয়েছিল তাদের।
কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের তৎকালীন প্রভাষক মুজিবুল হায়দারের উদ্যোগে সম্ভবত ২০০৩ সালে দর্পণ থিয়েটার প্রতিষ্ঠিত হয়। মুজিবুল হায়দারকে আহ্বায়ক করে কালকিনি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে চলতে থাকে এর কার্যক্রম। কিছুদিন পরে কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আবুল কালাম আজাদকে সভাপতি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাজহারুল আলমকে সাধারণ সম্পাদক করে এগিয়ে যেতে থাকে থিয়েটারের কার্যক্রম। জহিরুল আলম সিদ্দিকী ডালিম, কাজী নিয়ামুল ইসলাম ও শাহ মাহমুদ শাওনসহ এক ঝাঁক তরুণ নাট্যকর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রমে সমৃদ্ধ হতে থাকে দর্পণ থিয়েটার।
আবুল কালাম আজাদের রচনা ও পরিচালনায় ‘সাধু বাবার পাঠশালা’ নাটক দিয়ে মঞ্চায়ন শুরু। এরপর আবুল কালাম আজাদের রচনা ও পরিচালনায় ‘পিশাচ’ ও হেমায়েত হোসেনের রচনায় আনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় ‘ বিয়ে পাগলা বুড়া’ নাটক মঞ্চস্থ হয়।
এরপরই শুরু হতে থাকে মৌলবাদীদের নখরাঘাত। থিয়েটারটি বড় ধরণের হোচট খায়। তার সাথে যুক্ত হয় প্রশাসনের অসহযোগিতা। খুব অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেও থমকে দাঁড়িয়েছিল দর্পণ থিয়েটার। আর এগুতে পারেনি। কালের সাক্ষী হয়ে আজীবন দাঁড়িয়ে থাকবে হয়তো।
‘প্রদীপ নিভিয়া যাইবার আগে একবার ধপ করিয়া জ্বলিয়া ওঠা’র মতোই দর্পণ থিয়েটার নিভে যাওয়ার আগে জ্বলে উঠেছিল। তাইতো একবুক ব্যথা নিয়ে থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল আলম জানান,‘ আমরা ভালোভাবেই শুরু করেছিলাম। মাত্র তিনটা শো'তেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলাম। নাট্যকর্মীর সংখ্যা বাড়তে থাকলো। কিন্তু কোন এক স্বার্থান্বেষী মহল পিছু নিল আমাদের। মৌলবাদীরা ক্ষেপে উঠল। তকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ শোয়েবুল আলম বিমাতাসুলভ আচরণ করলেন। আমরা হেরে গেলাম। আমাদের পথচলা থেমে গেল। আর এক পা ও এগুতে পারিনি।’
২০০৪- ২০০৫ সালের কথা। কালকিনিতে দর্পণ থিয়েটারের নাম সবার মুখে মুখে। মাত্র তিনটি নাটক মঞ্চস্থ করতে পেরেছিল। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনি। মৌলবাদ, নোংড়া রাজনীতি আর প্রশাসনের যাতাকলে নিষ্পেষিত হতে হয়েছিল তাদের।
কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের তৎকালীন প্রভাষক মুজিবুল হায়দারের উদ্যোগে সম্ভবত ২০০৩ সালে দর্পণ থিয়েটার প্রতিষ্ঠিত হয়। মুজিবুল হায়দারকে আহ্বায়ক করে কালকিনি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে চলতে থাকে এর কার্যক্রম। কিছুদিন পরে কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আবুল কালাম আজাদকে সভাপতি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাজহারুল আলমকে সাধারণ সম্পাদক করে এগিয়ে যেতে থাকে থিয়েটারের কার্যক্রম। জহিরুল আলম সিদ্দিকী ডালিম, কাজী নিয়ামুল ইসলাম ও শাহ মাহমুদ শাওনসহ এক ঝাঁক তরুণ নাট্যকর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রমে সমৃদ্ধ হতে থাকে দর্পণ থিয়েটার।
আবুল কালাম আজাদের রচনা ও পরিচালনায় ‘সাধু বাবার পাঠশালা’ নাটক দিয়ে মঞ্চায়ন শুরু। এরপর আবুল কালাম আজাদের রচনা ও পরিচালনায় ‘পিশাচ’ ও হেমায়েত হোসেনের রচনায় আনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় ‘ বিয়ে পাগলা বুড়া’ নাটক মঞ্চস্থ হয়।
এরপরই শুরু হতে থাকে মৌলবাদীদের নখরাঘাত। থিয়েটারটি বড় ধরণের হোচট খায়। তার সাথে যুক্ত হয় প্রশাসনের অসহযোগিতা। খুব অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেও থমকে দাঁড়িয়েছিল দর্পণ থিয়েটার। আর এগুতে পারেনি। কালের সাক্ষী হয়ে আজীবন দাঁড়িয়ে থাকবে হয়তো।
‘প্রদীপ নিভিয়া যাইবার আগে একবার ধপ করিয়া জ্বলিয়া ওঠা’র মতোই দর্পণ থিয়েটার নিভে যাওয়ার আগে জ্বলে উঠেছিল। তাইতো একবুক ব্যথা নিয়ে থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল আলম জানান,‘ আমরা ভালোভাবেই শুরু করেছিলাম। মাত্র তিনটা শো'তেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলাম। নাট্যকর্মীর সংখ্যা বাড়তে থাকলো। কিন্তু কোন এক স্বার্থান্বেষী মহল পিছু নিল আমাদের। মৌলবাদীরা ক্ষেপে উঠল। তকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ শোয়েবুল আলম বিমাতাসুলভ আচরণ করলেন। আমরা হেরে গেলাম। আমাদের পথচলা থেমে গেল। আর এক পা ও এগুতে পারিনি।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন