:: সালাহ
উদ্দিন মাহমুদ ::
রোজ
সন্ধ্যার পর থেকেই ওরা
কাকরাইল মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকে। ইদানিং
অনেকেই বোরকা পরে দাঁড়ায়। কে
বেশ্যা, কে ঘরণি বোঝা
মুশকিল। এ
পথেই হেঁটে যায় সুমন। অফিস
থেকে বাসায় যেতে এটাই
একমাত্র পথ।
যেতে
যেতে দাঁড়িয়ে থাকা নিশিরমনীর শরীর
দেখে। বুকের
উচ্চতা মাপে। কোমরের
ভাজ খোঁজে। জিহ্বা
দিয়ে ঠোট টেটে বাসায়
গিয়ে বাথরুমে ঢোকে। বের হয়ে
বিছানায় মিনিট বিশেক নিথর
হয়ে পড়ে থাকে।
রোজই
সুমনের ইচ্ছে হয় দরদাম
করার। সাহস
হয় না। আজ
সাহস করে দাঁড়ায়।
অপেক্ষাকৃত কমবয়সী এক রমনীর
সামনে দাঁড়াতেই- ‘কি লাগবো নাকি?
এক্কেবারে টাইট এহনো।’
সুমন
লজ্জা পায়। আস্তে
বলে, ‘হুম...কত?’
‘এক
ঘণ্টা না সারারাইত?’
সুমন
বলে, ‘বাসা খালি।
সারারাইত।’
‘বেশ,
তাইলে তিন হাজার।’
‘দূর
মাগি। এত
ক্যান? তাইলেতো সানি লিওনরেই আনতে
পারি।’
‘তাইলে
যা, আমার কাছে ক্যান?’
‘মাসে
কামাই আট হাজার।
আর ও এক রাইতেই...। ব্যবসাতো
ভালোই।’
ক্ষেপে
যায় স্বঘোষিত সুন্দরি। চেচিয়ে
বলে, ‘ওই খানকি
মাগির পোলা,
অ্যাতো চটাং
চটাং কথা
কস ক্যান? কামাই
নাই তয় মাগি খোঁজস
ক্যান? কয়জনরে
তুই বিনাপয়সায় নষ্ট করছোস? চুতমারানির পো,
কাম ফুরাইলেই
খিস্তি-খেউর
থুতু ছিটাস
বেশ্যার গায়।’
‘চুপ
শালি। চিল্লাস
ক্যান। এক
হাজার দিমু যাবি কিনা বল।’
বলতেই
চারদিক থেকে সুমনকে ঘিরে
ধরে রাতের অপ্সরীরা।
চেচিয়ে বলে, ‘দিনের
বেলা সাধু,
বড় বড়
বুলি আওড়াও।
আন্ধার রাইতে
চুপি চুপি
খানকি মাগির
শরীর তোগাও?
তোরা ধর শালারে, ধর।’
তারপর
আর কিছুই মনে নেই
সুমনের। সকালে শরীরে প্রচণ্ড
ব্যথা নিয়ে ঘুম ভাঙে। চোখ
মেলে তাকাতেই সুন্দরী সেবিকা দাঁড়িয়ে।
‘আমি এখন কোথায়?’
‘আপনি
হাসপাতালে। রাস্তা
থেকে তুলে এনে কারা
যেন রেখে গেছেন।
আত্মীয়-স্বজন থাকলে খবর
দিন।’
সুমন
আসহায় চোখে সেবিকার দিকে
তাকিয়ে থাকে।
‘এই নিন, এ
ওষুধগুলো আনতে হবে।’
সুমন সম্ভিত
ফিরে পায়।
হাতের ঘড়ি,
আংটি, পকেটে মানিব্যাগ, মুঠোফোন কিছুই নেই। তিন হাজারেরও বেশি লোকসান হয়ে গেল। ব্যথাটাও
চিনচিন করে বেড়ে উঠছে।
মালিবাগ মোড়,
ঢাকা।
আলাপ: ০১৭২৫৪৩০৭৬৩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন