সালাহ উদ্দিন মাহমুদ
তোমার এ হতভাগা সন্তানের লেখাটুকু পড়বে কি না জানিনা। চশমাহীন ঝাপসা চোখে লেখাটুকু খুব দুর্বোধ্য মনে হবে। তবুও যে কথাগুলো কখনোই বলতে পারিনি; সে কথা আজ বলার জন্য বুকটা কেমন খাঁ খাঁ করছে।
তুমি আমায় গর্ভে ধরে ভুল করনি। বরং আমিই পৃথিবীতে এসে পাপ করেছি। তাই আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত আমাকেই করতে দাও। শুধু তোমার চোখের জলে আমার পাপগুলো ধুইয়ে দিও। তোমার শুচি-শুভ্র জীবনটাকে সাজিয়ে নিও।
আমার জন্য ভেবনা মা। তোমার ছেলে সুখেই আছে। এখন আমার অনাত্মীয়ই আত্মীয় সব। রক্তের বন্ধন তুচ্ছ এখন আমার কাছে। রক্তটানের বাইরে থেকেও অনেকে আমায় ভালোবাসে।
তুমি আমার স্বরবর্ণ; তুমিই আমার ব্যঞ্জন বর্ণ। আজো তুমি মুখস্থ এক আদর্শলিপি। ব্যাকরণে ভুল ছিল সব। শব্দ-বাক্য তাই অগোছালো। তোমার বলা রূপকথার কিস্সাগুলো এখন আমি আস্তে আস্তে ভুলতে শিখেছি। এখন আমি বাস্তবতার গল্প লিখছি।
হয়তো এখন তোমার আঁখি জলে ছলছল। জানি তোমার কান্না হবে নিস্ফল। বাঁধনহারা আউলাচন্ডি আমি এক বাউলা মানুষ। সাধ্য আছে কার বলোতো- এখন আমায় রাখবে বেঁধে?
মুছে ফেল মা অশ্র“রাশি। তুমিই ভাগ্যের চরণদাসী। আমার গলায় পড়লাম আমি অবিশ্বাসের কঠিন ফাঁসি। তোমার মুখে ঝরুক হাসি। আমি না হয় জলেই ভাসি!
অন্ধ চোখে এতো বেশি পড়তে তোমার কষ্ট হবে। আজকে না হয় বিদায় দিও। আবার যদি লিখতে বসি?
ইতি তোমার হতভাগা, লিখে গেলাম পত্রখানি। নাম ঠিকানা অচিনপুরÑ দৃষ্টি যাবে যতদূর.....।
তোমার এ হতভাগা সন্তানের লেখাটুকু পড়বে কি না জানিনা। চশমাহীন ঝাপসা চোখে লেখাটুকু খুব দুর্বোধ্য মনে হবে। তবুও যে কথাগুলো কখনোই বলতে পারিনি; সে কথা আজ বলার জন্য বুকটা কেমন খাঁ খাঁ করছে।
তুমি আমায় গর্ভে ধরে ভুল করনি। বরং আমিই পৃথিবীতে এসে পাপ করেছি। তাই আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত আমাকেই করতে দাও। শুধু তোমার চোখের জলে আমার পাপগুলো ধুইয়ে দিও। তোমার শুচি-শুভ্র জীবনটাকে সাজিয়ে নিও।
আমার জন্য ভেবনা মা। তোমার ছেলে সুখেই আছে। এখন আমার অনাত্মীয়ই আত্মীয় সব। রক্তের বন্ধন তুচ্ছ এখন আমার কাছে। রক্তটানের বাইরে থেকেও অনেকে আমায় ভালোবাসে।
তুমি আমার স্বরবর্ণ; তুমিই আমার ব্যঞ্জন বর্ণ। আজো তুমি মুখস্থ এক আদর্শলিপি। ব্যাকরণে ভুল ছিল সব। শব্দ-বাক্য তাই অগোছালো। তোমার বলা রূপকথার কিস্সাগুলো এখন আমি আস্তে আস্তে ভুলতে শিখেছি। এখন আমি বাস্তবতার গল্প লিখছি।
হয়তো এখন তোমার আঁখি জলে ছলছল। জানি তোমার কান্না হবে নিস্ফল। বাঁধনহারা আউলাচন্ডি আমি এক বাউলা মানুষ। সাধ্য আছে কার বলোতো- এখন আমায় রাখবে বেঁধে?
মুছে ফেল মা অশ্র“রাশি। তুমিই ভাগ্যের চরণদাসী। আমার গলায় পড়লাম আমি অবিশ্বাসের কঠিন ফাঁসি। তোমার মুখে ঝরুক হাসি। আমি না হয় জলেই ভাসি!
অন্ধ চোখে এতো বেশি পড়তে তোমার কষ্ট হবে। আজকে না হয় বিদায় দিও। আবার যদি লিখতে বসি?
ইতি তোমার হতভাগা, লিখে গেলাম পত্রখানি। নাম ঠিকানা অচিনপুরÑ দৃষ্টি যাবে যতদূর.....।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন